দেশজুড়ে নোভেলকরোনা ভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনতে আগামী ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত চলছে লক ডাউন। বন্ধ গাড়িঘোড়া থেকে কলকারখানা সবই। আর এতেই করোনার আতঙ্কের মধ্যেই অন্য চিত্র দেখছেন পরবেশবিদরা। করোনার কারণে আইসোলেশনে থাকা কলকাতায় দূষণের বিষ কমেছে অনেকটাই। শুধু কলকাতা নয়, দিল্লি থেকে চেন্নাই, মুম্বই থেকে লখনউ— বাতাসে বিষের পরিমাণ বিপদসীমার অনেকটাই নীচে নেমে গিয়েছে।
কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের তথ্য বলছে, ‘জনতা কার্ফু’র ঠিক এক দিন আগে অর্থাৎ ২১ মার্চ শনিবার প্রায় সব জনবহুল শহরে বায়ু দূষণের মাত্রা বিপজ্জনক ছিল। এক সপ্তাহ পর সেই ছবিটা অনেকটাই বদলে গিয়েছে। বিজ্ঞানী থেকে চিকিৎসক বা পরিবেশকর্মী— সকলেই বলছেন, আদর্শ পরিবেশ এমনটাই হওয়া উচিত। ২৬ মার্চ বিকেল ৪টের সময় কেন্দ্রীয় দূষণ নিয়ন্ত্রণ পর্ষদের ‘বাতাসের গুণমানের সূচক’ (এয়ার কোয়ালিটি ইন্ডেক্স)-এ গড়ে দিল্লির বায়ুদূষণ সন্তোষজনক পর্যায়ে নেমে হয়েছে ৯২। কলকাতায় আরও কমে ৮৬।
দূষিত শহরের মধ্যে হাওড়াও রয়েছে। সেখানে সূচক নেমেছে ৭১-এ। মুম্বই ৬৯ এবং চেন্নাই ৫৬। গুণমানের সূচক অনুযায়ী এই মান ১০০-র নীচে হলে, তা সন্তোষজনক ধরা হয়। ১০১ থেকে ২০০-র মধ্যে এই সূচক পৌঁছে গেলেই তা বিপজ্জনকের দিকে যেতে শুরু করে। ২০১ থেকে ৩০০ খারাপ, ৩০১ থেকে ৪০০ অতি খারাপ, ৪০১ থেকে ৫০০ ভয়ঙ্কর খারাপ। গুণমানের এই সূচকটি নির্ভর করে বাতাসে ভাসমান সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ (পিএম-১০) এবং বাতাসে ভাসমান অতি সূক্ষ্ম ধূলিকণার পরিমাণ (পিএম ২.৫) এর উপরে। অতএব শহর আইসোলেশনে ঠিকই। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে বিশুদ্ধ বাতাসে প্রাণ ফিরে পাচ্ছে মেট্রোপলিটনের ফুসফুস।