বাগান জুড়ে সাদা হয়ে ফুটে রয়েছে চন্দ্রমল্লিকা, তবু বিক্রি নেই, চারাগাছের পরিচর্যায় চাষিদের খরচের পরিমাণ প্রায় চল্লিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা, কারো বা লাখ ছুঁইছুঁই। বৈদ্যুতিক তাপ দিয়ে চারাগাছ বড়ো করা হয় তাতেও বিদ্যুৎ বিল এলে খরচ দিতে হয়। তবে বছরে বিঘা প্রতি দু লক্ষ্যের ওপর লাভের মুখ দেখতে পেত চাষিরা, শীতকালীন চাষ এই চন্দ্রমল্লিকা, তবে এই সময়ে প্রায় শেষ লগ্নে দাঁড়িয়ে মাঠে মারা গেল চাষ। বিঘার পর বিঘা নষ্ট ফুল। তবু নেট ঘিরে রেখে রোদ্দুরের তীব্র তাপের হাত থেকে বাঁচিয়ে রাখার শেষ চেষ্টা চালিয়ে যায় অসহায় চাষিরা। তবে শেষ আশা টুকুও ছেড়ে দিয়েছেন তাঁরা।
যে ফুল দিল্লী, হায়দ্রাবাদ, পুনে, রাঁচি, চেন্নাই, মুম্বাই যেত বা এই বাংলা নববর্ষ তে কলকাতা র মানুষ রা নিতেন নিজেদের প্রতিষ্ঠান সাজাতে, করোনার থাবায় লক ডাউনে বন্ধ ট্রেন, তাই পাইকারীও নেই, আশায় ছিল হয়তো প্রথম দফার লক ডাউনের পর জীবন যাত্রা বা যানবাহন কয়েকদিনের জন্য স্বাভাবিক হবে। কিন্তু প্রধানমন্ত্রী ও মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষনার পর দ্বিতীয় দফার লকডাউনের ঘোষণা হতেই এক প্রকার হতাশায় ভেঙে পড়েছেন চাষিরা।
দেউলিয়া, কোলাঘাট এমনকি হাওড়ার ফুল বাজারও বন্ধ। কোথাও বিক্রি নেই। বাগান ঘেরা নেট খুলে দিয়েছেন তাঁরা, বাগানেই শুকোচ্ছে ফুল। শাঁকটিকরী, বাজু, নস্করদিঘী সহ বিভিন্ন এলাকায় একই ছবি ধরা পড়েছে। এই অবস্থায় দুবেলা দুমুঠো খাবার যোগাবেন কিকরে সেই চিন্তাতেই দিশেহারা ফুল চাষিরা।