মধুমিতা দাস, বনগাঁ : কচি মুখগুলোর দিকে তাকানোই দায়। চোখে মুখে কেবলই কান্নার ছাপ। হারিয়ে গেছে প্রাণচঞ্চল হাসি। শৈশব হয়েছে চুরি! করোনার মারণ থাবায় দিন আনা দিন খাওয়া পরিবারগুলোর অবস্থা অত্যন্ত সঙ্গীন। যেসব পরিবারে দুধের শিশু রয়েছে, তারা আরও দুর্দশাগ্রস্ত। একদিকে কাজ না থাকায় হাতে টাকা নেই, তার ওপর শিশুর জন্য দুধ কেনা; গরীব দুঃস্থ পরিবারগুলির ক্ষেত্রে একপ্রকার অসম্ভব হয়ে দাঁড়িয়েছে। এমত পরিস্থিতিতে একপ্রকার ত্রাতার ভূমিকায় এগিয়ে এল বনগাঁ পৌরসভা। সৌজন্যে বনগাঁর চেয়ারম্যান শ্রী শংকর আঢ্য। লকডাউন ঘোষণার পর থেকেই তিনি পথে পথে। মানুষের দোরে দোরে ঘুরে শুনছেন সমস্যার কথা।
ত্রাণ বিলি বা মুখ্যমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে ব্যক্তিগত ভাবে অর্থ সহযোগিতা আগেই করেছেন। আর এবার দুধের শিশুদের কথা ভেবে বনগাঁ পৌরসভার পক্ষ থেকে বনগাঁ শহরের ১২ টি জায়গায় কাউন্টার করে বুধবার থেকে এক মাস থেকে তিন বছর বয়স পর্যন্ত শিশুদের বিনামূল্যে দুধ বিতরণ শুরু হল। শিশুর বয়স তিন বছরের মধ্যে হলেই মিলছে ২৫০ মিলিগ্রাম করে গরুর দুধ। এক্ষেত্রে পরিবারের যে কেউ শিশুর জন্ম শংসাপত্র নিয়ে এলেই মিলছে দুধ। প্রাথমিক পর্যায়ে একহাজার শিশুর জন্য দুধের ব্যবস্থা করা হয়েছে বলে পুরোসভার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।