লকডাউনে গ্রাম্য গির্জায় আশ্রয় এক অন্ধ মহিলার। নিজের আত্মীয়রা এলাকার বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য হওয়া সত্তেও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে অন্ধ মহিলার দিক থেকে। জয়ন্তী সোরেন নামের ওই বয়স্ক মহিলার খাবারের ব্যবস্থা করতে হিমশিম গরিব গ্রামবাসীর। লকডাউন এর কারণে বাড়ি ও ফিরতে পারছেন না ওই অন্ধ মহিলা। ফলে সরকারের কাছে সাহায্যের আর্তি জানিয়েছেন ওই অন্ধ মহিলা। পাশাপাশি গরিব গ্রামবাসীরাও বেশিদিন সাহায্য করতে না পারায়, তারাও চান, সরকার ওই মহিলার পাশে দাঁড়াক। বালুরঘাট থানার খরাইল এর কাছে বাঘবন্দি গ্রামের ঘটনা।
জানা গিয়েছে, বালুরঘাট থানার নক্সা গ্রামের বাসিন্দা জয়ন্তি সোরেন পুরোপুরি অন্ধ। লকডাউন এর আগেই তিনি বাঘ বন্দি গ্রামে দিদি জামাইবাবুর বাড়ি যান। দীর্ঘদিন লকডাউন এর কারণে ওই অন্ধ মহিলাকে বাড়ি থেকে বের করে দেন তার দিদি জামাইবাবু বলে অভিযোগ। নিজের দিদির মেয়ে বুলবুলি বেসরা এলাকার বিজেপির পঞ্চায়েত সদস্য দ্বায়িত্ব এড়িয়ে যায়। লকডাউন শুরু হয়ে যাওয়ায় তিনি আর বাড়ি ফিরতে পারেননি। লকডাউনের কারণে কলকাতায় পড়াশোনা করা একমাত্র ছেলেও বাড়ি ফিরতে পারছে না।
অন্ধ হওয়ায় এবং লকডাউনের কারণে তিনি বাড়ি ফিরতে না পারায়, ওই গ্রামেই থেকে যান। শেষ পর্যন্ত ঘুরতে ঘুরতে আশ্রয় মেলে আর এক হতদরিদ্র ছোটন হাঁসদার বাড়িতে। তিনি তাকে গ্রাম্য গির্জায় রাখার ব্যবস্থা করেছে। এই ঘটনার খবর পেয়েই অসহায় বৃদ্ধার দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন দক্ষিণ দিনাজপুর জেলা তৃণমূল সভানেত্রী তথা রাজ্যসভার সংসদ অর্পিতা ঘোষ।