July 27, 2024

TV Bangla New Agency

Just another WordPress site

রেশন নিয়ে ঝামেলার জেরে শেষে পুলিশের দারস্থ মালদার এক যুবক

নিজস্ব প্রতিনিধি, মালদাঃ মালদা জেলার হরিশচন্দ্রপুর পুলিশের মানবিকতা প্রশংসা কুড়াল এলাকাবাসীদের। লকডাউন এর মধ্যে ঘর থেকে বেরোতে পারছেন না এলাকার অনেক অসহায় দরিদ্র মানুষ। রাজ্য সরকার এই লকডাউনে গরিব মানুষদের জন্য বিনা পয়সায় রেশনের ব্যবস্থা করেছে। কিন্তু এরই মধ্যে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা এলাকার পিপলা গ্রামের এক বৃদ্ধ লাল্টু দাস স্থানীয় রেশন ডিলারের কাছ থেকে রেশন না পেয়ে হরিশ্চন্দ্রপুর থানা পুলিশের দ্বারস্থ হয়। সেখানে থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস তার হাতে চাল ডাল আলু সহ অন্যান্য খাদ্য সামগ্রী ব্যবস্থা করেন এবং তিনি যাতে খুব তাড়াতাড়ি রেশন পান সেই বিষয়ে আশ্বাস দেন।
এ প্রসঙ্গে লাল্টু দাস জানায়,”আমি রাজ্য সরকারের নির্দেশ বলে আজ সকালে পিপলা গ্রামের রেশন চিরন দাসের কাছে রেশন আনতে যায় কিন্তু ওই ডিলার আমাকে রেশন দেননি। উপরন্তু বলেন এই কার্ডের লোন পাওয়া যাবে না। আমি দরিদ্র খেটে খাওয়া শ্রেণীর মানুষ। লকডাউন এর জন্য কোথাও কাজ পাচ্ছি না। এই অবস্থায় রেশন থেকে পাওয়া সামগ্রী আমার ভরসা। তাই সেটি না পেয়ে আমি হরিশ্চন্দ্রপুর থানায় ছুটে যাই। সেখানে থানার আইসি আমার কাছ থেকে সব কথা শোনেন। উনি আমাকে চার আলু সহ অন্যান্য খাবারের ব্যবস্থা করেন। এবং সঙ্গে করে বাড়ি নিয়ে আসে ন। রেশন ডিলারের সঙ্গে এসে কথাও বলেন।”
এ প্রসঙ্গে স্থানীয় রেশন ডিলার ছিরণ দাস জানান, “লাল্টু দাস নামে ব্যক্তির কার্ডটি পোস্ট অফিসের মাধ্যমে উনি পেয়েছেন। আমাদের কাছে ওই ব্যক্তির রেশন কার্ডের কোন হদিস নেই। আমি ডিস্ট্রিবিউটরের কাছ থেকে ওর জন্য কোন মাল পাইনি। তবে ও রেশন কার্ডের নম্বর তুলনা হয়েছে চেষ্টা করব আগামীতে যাতে ও নিজের রেশনের সামগ্রী ঠিক ভাবে পায়।”
এদিকে হরিশ্চন্দ্রপুর থানার আইসি সঞ্জয় কুমার দাস জানান, “আমরা থানার পক্ষ থেকে যতটা পারছি এলাকার দরিদ্র খেটে খাওয়া মানুষদের সাহায্য করছি। লালটু বাবু একটি অভিযোগ নিয়ে এসেছিলেন।আমরা সরেজমিনে তদন্ত করে দেখেছি যে ওনার কার্ডটি সম্প্রতি পেয়েছেন। তবে স্থানীয় রেশন ডিলারের কাছে নথিভূক্ত করার নেই সেজন্য একটা সমস্যা হয়েছে। খুব তাড়াতাড়ি সমস্যার সমাধান হয়ে যাবে। এছাড়াও আজকে আমরা লালটু বাবুকে কিছুদিনের জন্য খাবার এর ব্যবস্থা করে দিলাম।”