নিজস্ব সংবাদদাতা, মালদাঃ মোথাবাড়ি এলাকার যুগলতলা গ্রামের একাধিক মৎস্যজীবী প্রতিদিনের মতো বৃহস্পতিবার দিনও মাছ ধরতে চারটে নাগাত বেরিয়ে ছিলেন ৮ নম্বর চরের দিকে । কিন্তু মোথাবাড়ি থানার যুগলতলা গ্রামের বাসিন্দা হাবলু মন্ডলের(৫৩) এদিন আর বাড়ি ফেরা হলো না। ফিরল তার মৃতদেহ। হাবলু মন্ডলের পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, বৃহস্পতিবার বিকাল চারটা নাগাত যুগলতলা গ্রামের হাবলু মন্ডল মাছ ধরতে বেরিয়ে ছিলেন ৮ নম্বর চরে। সে প্রতিদিন বাড়ি ফিরত সন্ধ্যায়। কিন্তু এদিন আর সে বাড়ি না ফেরায় তাঁর পরিবারের লোক খোঁজা-খুঁজি শুরু করে। খোঁজ করার পরেও তাকে খুঁজে পাওয়া জায়নি।
কয়েকঘন্টা পর পরিবারের লোকেরা জানতে পারে হাবলু মন্ডলকে খুন করা হয়েছে। হাবলু মন্ডলের ছোট ভাই আদেশ মন্ডল জানান, শচীন মণ্ডল নামে এক ব্যক্তি যখন রক্তাক্ত শরীরে রাত ১১ টা নাগাদ তাদের বাড়ির দিকে ছুটে এসেছিল তখন তার শরীর থেকে মদের গন্ধ পাওয়া যায়, এবং শচীন তাকে বলছিল কেউ নাকি আমার দাদাকে জলে চুবিয়ে পালিয়ে এসেছে। সে জলে ঝাঁপ দিয়ে কোনো রকমে পালিয়ে এসেছে। ঘটনা শুনে হাবলু মন্ডলের বাড়ির লোক এবং তার গ্রামের বেশ কয়েকজন ছুটে যায় চরের দিকে, গিয়ে সারারাত চরের এদিক-ওদিক খোঁজা খুঁজি করার পর সকালে দেখতে পায় হাবলু মন্ডলের মৃতদেহ পড়ে রয়েছে। হাবলু মন্ডল এর বাড়ির লোক সকালবেলা মোথাবাড়ি থানায় খবর দেন এবং মোথাবাড়ি থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহটিকে উদ্ধার করে। মোথাবাড়ি থানার পুলিশ ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে। কে বা কারা এই খুনের সঙ্গে জড়িত তাদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে পুলিশ। শুক্রবার দুপুরে হাবলু মন্ডলের দেহ ময়না তদন্তের জন্য মালদা মেডিকেল কলেজের মর্গে পাঠানো হয়।
হাবলু মন্ডল এর ছোট ভাই আদেশ মন্ডল জানান, শচীন মণ্ডল এর প্রতি তার সন্দেহ করছেন। তাছাড়া তিনি এটাও জানান যে শচীন মণ্ডল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যে সাতটা সময় স্থানীয় বাজার থেকে মদ কিনে নিয়ে যায়। মদ খাওয়া নিয়ে কিছু বিবাদ হতে পারে সেই কারনে তার দাদাকে খুন করে থাকতে পারে বলে অভিযোগ
এই ঘটনার তদন্তের নেমেছে মোথাবাড়ি থানার পুলিশ।