মেয়ের মৃত্যুর সঠিক তদন্ত করা হোক, কাতর বাবার আর্জি ছিলো এইটুকুই। কিন্তু তার বদলে জুটল হেনস্থা আর পুলিশের মার। মাহবুবনগরের এনুগোন্ডা এলাকার ১৬ বছরের ওই কিশোরীকে পাঠানচেরু শহর সংলগ্ন ভেলিমালার একটি আবাসিক কলেজে একাদশ শ্রেণীতে ভরতি করেছিলেন তার বাবা-মা। মঙ্গলবার বেসরকারি ওই কলেজের হোস্টেল থেকে ছাত্রীটির ঝুলন্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। কলেজ কর্তৃপক্ষের তরফে পুলিশকে ও মৃতের পরিবারকে জানানো হয়, মানসিক অবসাদ থেকে আত্মঘাতী হয়েছে ওই কিশোরী। যদিও এই কথা মানতে চায়নি মেয়েটির পরিবার। তাদের মেয়েকে খুন করে আত্মহত্যার গল্প সাজানো হচ্ছে বলে অভিযোগ করে। কিশোরী মেয়ের মৃত্যু স্বাভাবিক ভাবে হয়নি, এই দাবি নিয়ে ঘটনার সঠিক তদন্তের আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁর কোনও কথাতেই গুরুত্ব দিচ্ছিলেন না ময়নাতদন্তের জন্য মৃতদেহ নিয়ে যেতে আসা পুলিশকর্মীরা। বাধ্য হয়ে কাঁদতে কাঁদতে রাস্তায় শুয়ে পড়ে তাঁদের আটকানোর চেষ্টা করেন ওই ব্যক্তি।
কিন্তু তারপরেই ওই ব্যক্তিকে বেধরক মারধর করে কর্মরত পুলিশ কর্মীরা। সজোরে লাথি মারা হয় তাঁর পিঠে। এরপর টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে দেওয়া হয় ওই ব্যক্তিকে। পুলিশের এই অমানবিক কাণ্ডের ভিডিও স্যোশাল মিডিয়ায় পোস্ট হতেই তা নিয়ে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। প্রতিবাদে সরব হয়েছেন নেটিজেনরাও। এরপর অভিযুক্ত পুলিশ কনস্টেবল শ্রীধরকে সাসপেন্ড করা হয়। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।