সালিশি সভায় ডেকে বিজেপি কর্মীকে বেধড়ক মারধড়ের অভিযোগ, ঘটনার পর হাসপাতালে ভর্তি ওই বিজেপি কর্মী। ঘটনাটি ঘটে, মুর্শিদাবাদের সুতি থানা এলাকায়। ঘটনায় ব্যপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকাজুড়ে। জানাগিয়েছে, সোমবার সকালে নির্মীয়মাণ বাড়ির প্লাস্টারের দেওয়ালে জল দিচ্ছিলেন বিজেপি কর্মী জাকির সেখ। সেই সময় হঠাৎ জলের পাইপ ফেটে গিয়ে কিছুটা জল চলে যায় তৃণমূল কর্মী আঙুর সেখের জায়গায়। এরপরই জাকির সেখের সঙ্গে বচসা বেধে যায় ওই তৃণমূলকর্মীর। এরপরই হঠাৎই তৃনমূল কর্মী আঙুর সেখ সদলবলে এসে জাকির সেখকে বেধড়ক ভাবে মারধোর করে বলে অভিযোগ। ঘটনার পর এক সালিশি সভার আয়োজন করা হয় সুতির বংশবাটি পঞ্চায়েত এলাকায়। কিন্তু এরপর অভিযোগ, ওই সালিশি সভায় তৃণমূল আশ্রিত দুষ্কৃতিরা বিজেপি কর্মী জাকির সেখের স্ত্রীর উপর চড়াও হয় এবং মাথায় ভোজালির কোপ মারা হয় বলে। বিজেপি কর্মী আঙুর সেখের স্ত্রী সহরবাণু বিবিকে আহিরণ ব্লক প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি করা হয়। তবে ঘটনার পর বিজেপি কর্মী জাকির সেখের অভিযোগ,আমি আগে তৃণমূল করতাম।কিন্তু এখন বিজেপি দলে যোগ দিয়েছি। তাই আমাকে ও আমার স্ত্রীকে বেধড়কভাবে মারধোর করা হয়েছে। এর পাশাপাশি বিজেপির উত্তর মুর্শিদাবাদ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি সুজিত দাস এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে দোষীদের বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ করা হবে বলে জানিয়েছেন। দিও শাসক দলের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। অপর ঘটনাটি ঘটে সুতি থানার হিলোরা গ্রামে সেখানে বিজেপি কর্মী রাজিব খামারুর সঙ্গে তৃণমূল কর্মী টাল্টু মাঝি ও নারায়ন মাঝির বচসা বাঁধে একটি জায়গা নিয়ে যে জায়গাটি ১৪৪ ধারা জারি রয়েছে ১৮/৬ পর্যন্ত, তা সত্বেও আজ টাল্টু ও নারায়ন জায়গা দখল করতে আসে প্রতিবাদ করলে রাজিব খামারু ও তার স্ত্রীকে ব্যাপক মারধর করা হয়, ইতিমধ্যেই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ার করা হয়েছে।