July 27, 2024

TV Bangla New Agency

Just another WordPress site

বাড়ি বাড়ি যাবেন আশাকর্মীরা, করোনা মোকাবিলায় নয়া পদক্ষেপ রাজ্যে

করোনা মোকাবিলায় আরো এক ধাপ এগিয়ে থাকতে চায় রাজ্য। আর সেদিকে লক্ষ্য রেখেই করোনা মোকাবিলায় এবার বাড়ি বাড়ি যাবেন আশাকর্মীরা। বাড়ি বাড়ি গিয়ে জ্বর, সর্দিকাশি ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে তথ্য সংগ্রহ করার সঙ্গে সঙ্গে বাড়ির কোনও সদস্য বিদেশ থেকে ফিরেছেন কী না, তারও তথ্য সংগ্রহ করবেন স্বাস্থ্যকর্মীরা। এমনটাই জানালেন রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তী। এপ্রসঙ্গে অজয়বাবু বলেন, “করোনা মোকাবিলায় রাজ্য ‘স্ট্যান্ডার্ড অরপারেটিং প্রোটোকল’ তৈরি করেছে। আমরা সাধারণ মানুষকে চার ভাগে ভাগ করে দেখতে চাইছি। দেশের মধ্যে এমন উদ্যোগ এই প্রথম। এ বিষয়ে স্বাস্থ্যকর্মী, চিকিৎসক, আশাকর্মী ও যাঁরা গ্রামের প্রত্যন্ত জায়গায় কাজ করেন তাঁদের প্রশিক্ষিত করার কাজ সোমবার থেকে শুরু হচ্ছে। নির্দেশিকা তৈরি হয়েছে”। সেই নির্দেশিকায় নোভেল করোনা ভাইরাস আক্রান্তদের চারটি ভাগে ভাগ করে সাধারণ মানুষের উপর নজর রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে স্বাস্থ্য ভবন।

জানা গিয়েছে, যাদের বিদেশ যাওয়ার তথ্য রয়েছে এবং তা সঙ্গে জ্বর-সর্দি-কাশির লক্ষণ রয়েছে তাদের ‘এ’ ক্যাটাগরিতে ফেলা হবে। আর তাদের একেবারে আইসোলেশন রেখে চিকিৎসা করা হচ্ছে। অন্যদিকে ‘বি’ ক্যাটাগরিতে তাদের ফেলা হবে যাদের বিদেশযাত্রার রেকর্ড নেই, অথচ জ্বর-সর্দি-কাশি অর্থাৎ নোভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে। একই সঙ্গে যাদের ৬০ বছরের বেশি বয়স তাদের ডায়াবেটিস বা শ্বাসকষ্টের লক্ষন দেখা গেলেও তাদেরও সেই একই ক্যাটাগরিতে রাখা হবে।

ক্যাটেগরি‘সি’হচ্ছে যাদের বিদেশযাত্রার রেকর্ড রয়েছে। কিন্তু, জ্বর বা অন্য কোনও লক্ষণ নেই, এমন ব্যক্তিদের ১৪ দিন বাড়িতে নজরবন্দি থাকতে হবে। আর যাদের বিদেশযাত্রার রেকর্ড নেই, জ্বর-সর্দি-কাশিরও লক্ষণ নেই, তাদের‘ডি’ক্যাটেগরিতে ফেলা হবে। সূত্রের খবর, সোমবার থেকেই রাজ্যের আশাকর্মীদের প্রশিক্ষণ দেওয়ার কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে।