বাবা নেই। পড়াশুনার খরচ যোগাতে সপ্তম শ্রেণি থেকে জুতো সেলাইয়ের কাজ শুরু করে সঞ্জয়। এবার কনুয়া হাই স্কুল থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা দিচ্ছে সে। এখনও বাকি ভূগোল পরীক্ষা। কিন্তু ভর্তির খরচ যোগাড়ের পাশাপাশি সংসারের অনটন সামাল দিতে লকডাউনের মধ্যেও রাস্তার পাশে বসে থাকতে হয় তাকে। অভাবি মেধাবী সঞ্জয়ের কথা জেনে তার বাড়িতে যান টিএমসিপির জেলা সভাপতি প্রসূন রায় ও যুব নেতা অম্লান ভাদুড়ী। আর এবার মালদা জেলার হরিশ্চন্দ্রপুর ১ নম্বর ব্লকের কনুয়া ভবানীপুর হাইস্কুলের মেধাবী ছাত্র সঞ্জয় রবি দাসের পাশে থাকার বার্তা দিলেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী।
শুভেন্দুবাবুর দফতর থেকে সঞ্জয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। সব জেনে তাকে এদিনই আর্থিক সাহায্য করা হয়। এছাড়া ভবিষ্যতে তার পড়াশুনা চালাতে কোনও সমস্যা হবে না বলেও আশ্বাস দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করার পর বিএ পড়ার জন্য পরবর্তী তিন বছর তার যাবতীয় দায়িত্ব নেওয়ার কথাও জানিয়েছে টিএমসিপি। এছাড়া লকডাউন চলাকালীন খাবারের যাতে সমস্যা না হয় তাও স্থানীয় টিএমসিপি নেতৃত্বকে দেখার নির্দেশ দিয়েছেন জেলা সভাপতি। অভাব পাশাপাশি লকডাউনের মধ্যে তার পাশে মন্ত্রী, তৃণমূলের পাশাপাশি একাধিক শুভানুধ্যায়ী সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেওয়ায় আপ্লুত সঞ্জয় ও তার মা।