করোনার প্রকোপ থেকে দেশকে বাঁচাতে ‘লকডাউনের’ ঘোষনা করেন প্রধানমন্ত্রী। আর এর মধ্যেই ইতিমধ্যে সেই নির্দেশ অমান্য করেই ভিন রাজ্য থেকে পরিযায়ী শ্রমিকরা হেঁটেই বাড়ি ফিরতে মরিয়া। আর এই পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার দায়িত্ব রাজ্যগুলির উপর চাপিয়েছে কেন্দ্র। আর কেন্দ্রের নতুন নির্দেশিকা পেয়ে তৎপর পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্যগুলোও এই একইভাবে পরিযায়ী শ্রমিকদের দিকে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দেয়, তার জন্য তিনি নিজের ১৮ জন মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখেছিলেন। আর আজ কেন্দ্র সেই নির্দেশিকা পাঠানোর পরই তৎপর হয়ে নবান্ন থেকে জারি হল একগুচ্ছ বিধি। রবিবার বিকেলে রাজ্য সরকারের তরফে বিজ্ঞপ্তি জারি করে স্পষ্ট বলে দেওয়া হয়েছে, বাংলায় কর্মরত ভিনরাজ্যের শ্রমিকদের জন্য কী কী ব্যবস্থা করতে হবে। সূত্রের খবর,
- যে কোনও কাজের সঙ্গে যুক্ত থাকা পরিযায়ী শ্রমিকদের সময়মতো মজুরি দিতে হবে কর্তৃপক্ষকে।
- লকডাউনের অজুহাতে একটি দিনের বেতনও কাটা যাবে না, মজুরি দিতে দেরিও করা যাবে না।
- সেখানকার বাড়িওয়ালা আগামী এক মাস নির্দিষ্ট সময়ে ভাড়া দেওয়ার জন্য জোর করতে পারবেন না। এ বিষয়ে শিথিল হতে হবে অন্তত এক মাসের জন্য। আর কাউকে জোর করে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার চেষ্টা করলে, বাড়িওয়ালার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এমনিতেও লকডাউনের প্রথম দিন থেকেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘোষণা করে দিয়েছিলেন যে বাংলায় কর্মরত ভিনরাজ্যে শ্রমিকের থাকা-খাওয়ার দায়িত্ব নেবে সরকার।