সম্পর্ক মেনে নেয়নি পরিবার। আর তার জেরেই অভিমানে প্রেমিক যুগলের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় এলাকায়। ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর দিনাজপুরের রায়গঞ্জে। সূত্রের খবর, উত্তর দিনাজপুরের পূর্ব গোয়ালগাঁও এলাকার পেশায় কাঠমিস্ত্রি সুজন রায় ও ওই এলাকারই মামনি রায় নামে এলাকারই এক কিশোরীর সঙ্গে প্রণয়ের সম্পর্ক ছিল।
জানা গিয়েছে, তাঁদের এই সম্পর্কের কথা এলাকার সকলেই জানতেন। এমনকি তাঁদের বিয়ে হবে বলেও জানত সকলে। কিন্তু তাদের এই সম্পর্কে নারাজ ছিলেন মেয়ের বাবা। একাধিকবার বোঝানো হলেও মেয়ের প্রেমিককে মেনে নিতে রাজি হননি তিনি। এরপর ঘটনার দিন মঙ্গলবার দুপুর নাগাদ বাড়ি থেকে খেলার নাম করে বেরোন মামনি। সে দিন সারারাতেও বাড়ি ফেরেনি সে।
এরপর বুধবার বাড়ি থেকে দেড় কিলোমিটার দূরে সুজন-মামনির ঝুলন্ত দেহ দেখতে পান স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে দেহদুটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে। অন্যদিকে ঘটনায়,মামনির বাবার বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন স্থানীয়রা। যদিও এই প্রেমিক যুগলের আত্মঘাতী হওয়ার ঘটনায় শোকের ছায়া নেমে পড়ে দুই পরিবারের সদস্যদের মধ্যে। এছাড়া ওই দুই যুগলের মৃত্যু আত্মহত্যা নাকি এর পিছনে অন্য কোন রহস্য আছে? তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।