নেশা করতে গিয়ে মাত্রাতিরিক্ত হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে বিষক্রিয়ায় মৃত্যু হয় ২ যুবকের। ঘটনাটি ঘটেছে কাঁথির মারিশদা থানা এলাকায়। দিনের পর দিন করোনা মোকাবিলায় দেশজুড়ে লকডাউন থাকায় নেশাহীন গৃহবন্দি জীবনকে না মেনে নিতে পেরে হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে নেশা করার চেষ্টা কাল হয়ে দাঁড়াল তাদের। সূত্রের খবর, শনিবার সন্ধেয় কাঁথির মারিশদা থানা এলাকার শিল্পীবাড়ির বাসিন্দা চার যুবক হোমিওপ্যাথি ওষুধ খেয়ে নেশা করার চেষ্টায় অসুস্থ হয়ে পড়েন। একের পর এক সকলেই বেহুঁশ হয়ে গেলে করোনা আক্রান্ত হওয়ার গুজব ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। এরপর আতঙ্কে স্থানীয়রা পুলিশে খবর দিলে ,পুলিশ তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে পৌঁছয় এবং অসুস্থ ওই যুবকদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বেশ কিছুক্ষণ চিকিৎসার পরই হাসপাতালের তরফে যুবকদের অসুস্থতার কারণ স্পষ্ট করা হয়।
চিকিৎসকরা জানান, হোমিওপ্যাথি ওষুধ এবং নেশার ট্যাবলেট মিশিয়ে খাওয়ার ফলেই বিষক্রিয়া হয়ে যায়। তাতেই অসুস্থ হয়ে পড়েছেন ওই যুবকেরা। কিছুক্ষণের মধ্যে দু’জনকে মৃত বলে জানান চিকিৎসকরা। মৃতেরা হল কাঁথির পিছাবনির বাসিন্দা ভরত দাস এবং মারিশদা শিল্লীবাড়ির বাসিন্দা পঙ্কজ দাস। বাকিদের অবস্থা অত্যন্ত আশঙ্কাজনক। অন্যদিকে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মদ না পেয়ে ব্রায়োনিয়া ৩০ নামে হোমিওপ্যাথি ওষুধের সঙ্গে কোনও নেশার ট্যাবলেট কেনেন তারা। আর তাতেই বিষক্রিয়া হয়ে অসুস্থ হয়ে পড়েন প্রায় প্রত্যেকে।