July 27, 2024

TV Bangla New Agency

Just another WordPress site

দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়া মেয়ের দু’টি কিডনি খারাপ, মুখ্যমন্ত্রীর মুখাপেক্ষী পরিবার

কল্যাণ অধিকারী, হাওড়াঃ কয়েক মাস আগেও দিব্যি খেলাধূলা করত। বন্ধুদের সঙ্গে স্কুলে যেত। কিন্তু সাত বছরের মেয়েটির শরীর সঞ্চারিত হচ্ছিল না। রোগা মেয়েকে নিয়ে শহরের চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যায়। আর তারপর পরীক্ষার রিপোর্ট হাতে পেয়ে পরিবারে আঁধার নেমে এসেছে। মেয়ের দু’টি কিডনি খারাপ। কীভাবে মেয়ের শরীরে কিডনি প্রতিস্থাপিত হবে চিন্তায় বাড়ির খাওয়াদাওয়া বন্ধ হবার জোগাড়। আমতা ২নং ব্লকের জাগলগড়ী গ্রামের অভিজিৎ দত্তর একমাত্র মেয়ে শুভশ্রী। পড়াশোনায় ছোট থেকে ভালো। কিন্তু খেতে চাইতো না। শরীরের বাড় কিভাবে হবে! এইজন্য চিকিৎসকের কাছে নিয়ে যাওয়া হয়। চিকিৎসকদের হাতে পরীক্ষার রিপোর্ট পড়তেই জানানো হয় একটি কিডনি সম্পূর্ণ খারাপ। অপর কিডনির কার্যক্ষমতা সামান্যই রয়েছে। ডাক্তারেরা জানিয়েছেন সময় বেশি দেওয়া যাবে না। যেভাবেই হোক দ্রুত কিডনি প্রতিস্থাপন করতে হবে। শুভশ্রীর বাবা অভিজিৎ বাবু এবং মা পাপিয়াদেবি সন্তানের কিডনির জন্য হন্নে হয়ে খুঁজে চলেছেন।  এই মুহুর্তে পার্ক সার্কাস এলাকার একটি নার্সিংহোম শুভশ্রী ভর্তি রয়েছে। নাতনিকে বাঁচাতে বছর পয়ষট্টির ঠাকুমা কিডনি দিতে চাইছে। কিন্তু কিডনির কার্যক্ষমতার কথা চিন্তাভাবনা করছেন চিকিৎসকরা। মা পাপিয়াদেবির কথায়, মেয়ে আমার ঘরের লক্ষ্মী। পড়াশোনায় খুব ভালো। আমতার একটি স্কুলে পড়াশোনা করত। রোগা শরীরে অত দূরে পাঠাতে ভয় হয়। তাই পাশেই জাগলগড়ী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণিতে পড়াশোনা করছে। কিন্তু মাস তিনেকের মধ্যে সব কেমন যেন ওলট-পালট হয়ে গেল। রোগটা ধরা পড়তেই ঘরে অন্ধকার নেমে এসেছে। ওষুধপত্র, পরীক্ষা করাতে টাকা খরচ হয়ে যাচ্ছে। আমার একটা কিডনি দিয়ে মেয়েকে সুস্থ করতে চাই। কিন্তু তাতেও তো চিকিৎসকরা হিসাব দিয়েছে প্রায় পনেরো লক্ষ টাকার প্রয়োজন। কোথা থেকে জোগাড় হবে অত টাকা বুঝে উঠতে পারছি না। পরিবারের পক্ষ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘দিদিকে বলো’ মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হয়েছে। পাশাপাশি এলাকার শুভবুদ্ধি সম্পন্ন সর্বস্তরের মানুষের কাছে যোগাযোগ করা হচ্ছে। মেয়ের মুখের দিকে তাকিয়ে খাওয়া ভুলে গেছি। জানি না কী হবে। আমাদের সহায় ভরসা এখন মুখ্যমন্ত্রীই।  দক্ষিণ ভারতে নিয়ে গিয়ে চিকিৎসা করালে খরচ হয়তো একটু কম হবে। কিন্তু শুভশ্রীর পরিবারের আর্থিক অবস্থা ভাল নয়। থাকার বলতে রয়েছে একটু ভিটেমাটি। নাতনিকে সুস্থ করে তুলতে ওটাই হয়তো বন্দক রাখতে হবে! চোখের জল মুছতে মুছতে জানাচ্ছেন দাদু। আমরা মুখ্যমন্ত্রীর কাছে যাব। আমাদের ছোট্ট দাদুমনিকে সুস্থ করে তুলতে যেখানে যাবার সেখানেই পৌঁছে যাব। ওকে সুস্থ করে দিন আপনারা।