সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনের সমর্থন ও সিএএ বিরোধী আন্দোলনের প্রতিবাদে ফেব্রুয়ারি মাসের শেষেই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে দিল্লি। আর সেই হিংসার আগুনে প্রাণ হারাতে হয়েছিল আইবি কর্মী অঙ্কিত শর্মাকে। এরপর ঘটনার তদন্তে নামে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চ। তদন্তে দিল্লি পুলিশের ক্রাইম ব্রাঞ্চের হাতে গ্রেপ্তার হন আম আদমি পার্টির কাউন্সিলর তাহির হোসেন। চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে সলমন নামের আর এক যুবককেও গ্রেপ্তার করেছে দিল্লি পুলিশের স্পেশ্যাল সেল। এবার এই ঘটনায় জড়িত সন্দেহে আরও পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মোট ১২ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে চার জন ফিরোজ, জাভেদ, গুলফাম এবং শোয়েব দিল্লির চাঁদবাগের বাসিন্দা। আর এক ধৃত আনাস মুস্তাফাবাদের বাসিন্দা।
জানা গিয়েছে, ধৃত সলমনকে চারদিনের পুলিশ হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এরই মধ্যে জানা যায়, অঙ্কিতকে প্রথমে কুপিয়ে খুন করা হয় পরে তার দেহ নর্দমায় ফেলে দেওয়া হয়। অঙ্কিতের দেহ উদ্ধারের পর প্রথমে শনাক্ত করতে পারেননি অঙ্কিতের বাবা। তবে চারশো নয়, প্রায় একান্নটি কোপ পড়ে অঙ্কিতের শরীরে। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে ফুসফুসে এবং মাথায় গভীর ক্ষত এবং রক্তক্ষরণের জেরেই মৃত্যু হয়েছে এই তরুণ আইবি কর্মীর।