এমনিতেই নিজভূমে পরবাসি তার উপর সারা বছর ওরা থাকে কাঁটাতারের ওপারে। কাটাতারের বেড়ার ওপারে থাকার দরুন থাকতে হয় কঠোর অনুশাসনে। তাই বছরভর ওরা সমস্যায় জর্জরিত। এরই মধ্যে লকডাউন। লকডাউনের জেরে সেই সমস্যা আরও বেড়ে গিয়েছে। কার্যত দমবন্ধ অবস্থা ওদের।নিত্যপ্রযোজনীয জিনিস কিনতে হচ্ছে চড়া দামে। ফলে আরও সমস্যা বেড়েছে।
এই সমস্যা সমাধানে পরিবার পিছু একজন করে ভারতের মূল ভখণ্ডে যেতে দেওযার দাবি নিয়ে হিলির সীমান্তবর্তী গ্রাম শ্রীকৃষ্ণপুর, জামালপুরে বিক্ষোভ দেখালেন কাঁটাতারের ওপারের বাসিন্দারা। বাসিন্দাদের বিক্ষোভের মুখে পড়েন স্থানীয় পঞ্চায়েত সদস্য ও প্রধান। উত্তেজিত মানুষ কাঁটাতারের বেড়া কেটে ফেলার চেষ্টা করেন। সীমান্তের ফটকও ভাঙার চেষ্টা করা হয়।যদিও বিএস এফ ও স্থানিও প্রশাসন খবর পেয়ে ছুটে এসে কোন রকমে তাদের ক্ষোভকে শান্ত করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে নিয়ে আসে।
প্রসঙ্গত, ১০ এপ্রিল করোনা ভাইরাস সংক্রমণ রোধে জেলা প্রশাসন এবং বিএসএফ বৈঠক করে হিলি সীমান্ত সিল করে দেয়। পাশাপাশি কাঁটাতারের ওপারে ভারতীয় ভূখণ্ডের বাসিন্দাদের যাতায়াতে বিধিনিষেধ আরোপ করে প্রশাসন। জরুরিকালীন ছাড়া ভারতে প্রবেশের ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়। সীমান্তের ওপারে খাবার সামগ্রীর জোগান স্বাভাবিক রাখতে পঞ্চায়েত থেকে মুদি, সবজির দোকানে সামগ্রী পাঠানোর উদ্যোগ নেওযা হয় প্রশাসনের তরফে । জিরো লাইন বরাবর অতিরিক্ত বিএসএফ জওযান মোতায়েন করে নিরাপত্তা জোরদার করে সীমান্ত রক্ষীবাহিনীও। এখন দেখার ৩ রা মে লকডাউন ওঠার পর কতদ্রুত স্বাভাবিক ছন্দে ফিরে আসে কাটাতারের বেড়ার ওপারে নিজভূমে পরবাসে হয়ে থাকা ভারতীয় নাগরিকদের জীবন যাত্রা।