বাঙালি মেয়েদের ফুটবল বলতেই চোখে ভাসে জয়া ভাদুড়ি (বচ্চন) ও উত্তমকুমারের “ধন্যি মেয়ে”। সেই বাংলার থেকে ভারতের অনুর্দ্ধ ১৭ দলে গোলকিপার হিসাবে বিশ্বকাপে অভিষেক হয়ে যেতো অদ্রিজা সরখেলের লকডাউন বাধ না সাধলে। অটোচালক মামার বাড়ীতে থেকে প্রস্তুতির জন্য প্রয়োজনীয় খাদ্য উপাদানের অভাব, এই খবর প্রকাশিত হতেই ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নির্দেশে আসানসোলের মহানাগরিক জিতেন্দ্র তেওয়ারী, নিজে গিয়ে একমাসের স্পোর্টস উপযোগী খাদ্যসামগ্রী ও নগদ এগার হাজার টাকার ব্যবস্থা করেন। আসানসোলের রূপনারায়নপুরের এই রূপকথার পাশে দাঁড়াতে আজ এগিয়ে এলেন এলাকার জাতীয় স্তরের প্রাক্তন ক্রীড়াবিদ অশোক রুদ্র ও নববিকাশ ক্লাব।
নববিকাশ ক্লাব সিদ্ধান্ত নেয় সঞ্জীব বাউরির কোচিং এ পশ্চিম বর্ধমান জেলার বারাবনি বিধানসভার রূপনারায়নপুরের মালবহল গ্রামের রয়্যাল বেঙ্গল চ্যালেন্জারস ক্লাবে প্র্যাকটিস করা জাতীয় দলের অনুর্দ্ধ ১৭ মহিলা ফুটবলার অদ্রিজা সরখেল সহ দলের ১৫ জন মহিলা খেলোয়াড়কে এই লকডাউনের সময় প্রোটিন জাতীয় ক্রীড়া উপযোগী খাদ্য সামগ্রী তুলে দিবে। সেইমতো আজ রাজ্য প্রাথমিক ক্রীড়ার মুখ্য সংযোজক অশোক রুদ্র কে নববিকাশ ক্লাবের তরফে দেবাশীষ তালুকদার, রূপক সরকার প্রমুখেরা খেলার মাঠে পৌঁছে মহিলা ফুটবলারদের হাতে খাদ্য সামগ্রী তুলে দেন। অশোক রুদ্র বলেন বাংলা থেকে জাতীয় দলে একমাত্র প্রতিনিধিত্ব করা অদ্রিজা সরখেল আমাদের গর্ব, তার পাশে ইতিমধ্যে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জী, ক্রীড়ামন্ত্রী অরূপ বিশ্বাসের নির্দেশে আসানসোলের মেয়র জিতেন্দ্র তেওয়ারী দাঁড়িয়েছেন।