প্রয়াত হলেন বাংলা চলচ্চিত্র জগতের জনপ্রিয় অভিনেতা তাপস পাল। সোমবার ভোররাতে মুম্বইয়ের একটি বেসরকারি হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন ৬১ বছর বয়সি এই তারকা। তার এই অকাল প্রয়াণে শোকের ছায়া নেমে পড়ে টলিউডে। পরিচালক তরুণ মজুমদারের ‘দাদার কীর্তি’ ছবিতে তার প্রথম পদার্পণ টলিউড জগতে। তার অসাধারন অভিনয় পারদর্শিতার জন্য বিশেষ জায়গা করেছেন টলিউড জগত থেকে শুরু করে বহু মানুষের মনে। এরপর ‘গুরুদক্ষিণা’, ‘বলিদান’, ‘কড়ি দিয়ে কিনলাম’র মতো একের পর এক সুপারহিট ছবিতে ভূয়সী প্রশংসা পায় তাঁর অভিনয়। এরপর ২০০১ সালে তৎকালীন বিরোধী দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাত ধরে তাপস পালের রাজনীতিতে প্রথম পথ চলা শুরু হয়। ওই বছর তারকা বাম প্রার্থী, আরেক অভিনেতা বিপ্লব চট্টোপাধ্যায়কে হারিয়ে সে বছর আলিপুরের বিধায়ক হয়েছিলেন তাপস পাল। সেই থেকে তার রাজনৈতিক কেরিয়ার শুরু।
৫ বছর ধরে ভাল কাজের পুরস্কার হিসেবে ২০০৬ সালে ফের বিধায়ক হিসাবে নির্বাচিত হন তিনি। এরপর ২০০৯ এবং ২০১৪ সালে পরপর দুবার কৃষ্ণনগর লোকসভা কেন্দ্র থেকে সাংসদ নির্বাচিত হন তিনি। তবে দ্বিতীয়বারের সাংসদ জীবনে তাঁর সঙ্গী হয়ে গিয়েছিল গুটি কয়েক বিতর্ক। এরপর অবশ্য তাঁকে বেশ খানিকটা ওঠাপড়ার মধ্যে দিয়ে যেতে হয়েছে। বেআইনি অর্থলগ্নি সংস্থা রোজভ্যালির সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে সিবিআইয়ের নজরে পড়েন। গ্রেপ্তার হয়ে প্রায় দেড় বছর ভুবনেশ্বরে সিবিআই হেফাজতে ছিলেন। এরপর অসুস্থ হয়ে পড়েন সেই সময় থেকে। ২০১৮ সালের প্রথম দিকে ছাড়া পান। তারপর আর রাজনীতির সঙ্গে সেভাবে যোগাযোগ ছিল না তাপস পালের। শারীরিক অবস্থাও কাজ করার পক্ষে তেমন অনুকূল ছিল না। তবে যতটা সময় কাজ করেছেন, একেবারে চূড়ান্ত পারফর্মার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করে গিয়েছেন। ঠিক যেমনটা ছিল তাঁর অভিনয়ের কেরিয়ার। তাঁর প্রয়াণের খবর পেয়েই টুইটারে শোকপ্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।