নিজস্ব প্রতিনিধি পূর্ব মেদিনীপুর: নোভেল করোনা ভাইরাসের আতঙ্কে গোটা দেশ জুড়ে চলছে লক ডাউন। এমন পরিস্থিতিতে ঘরবন্দী রাজ্য তথা গোটা দেশের মানুষ। ঘরবন্দী সাধারণ মানুষের অন্ন সুনিশ্চিত করতে রাজ্য সরকারের তরফ থেকে গোটা রাজ্য বাসীকে বিনামূল্যে চাল দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যার ফলে এখন রাতদিন এক করে কাজ চলছে জেলার রাইসমিল গুলিতে।
লকডাউনে ঘরবন্দি সাধারণ মানুষের মুখে অন্ন তুলে দিতে এপ্রিলের শুরু থেকেই গোটা রাজ্যের রেশন দোকান গুলোতে সাধারণ মানুষের জন্য বিনামূল্যে চাল দেওয়া শুরু হয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে সরকারকে চাহিদামত চাল সরবরাহ করতে এগিয়ে এসেছে জেলার রাইসমিল গুলিও। বিনামূল্যে চাল সরবরাহ করতে যাতে সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয় সেজন্য রাতদিন এক করে উপযুক্ত পরিমাণ চাল প্রস্তুত করছে জেলার রাইসমিলের শ্রমিকরা। পূর্ব মেদিনীপুর জেলায় মোট ২৭টি রাইস মিল রয়েছে। যাদের মধ্যে ৭টি রাইস মিল বিভিন্ন কারণে বন্ধ হয়ে গেলেও বর্তমান পরিস্থিতিতে উপযুক্ত পরিমাণ চালের যোগান দিতে সরকারি সাহায্যে ওই ৭টি রাইসমিলকেও চালু করা হয়েছে। সবমিলিয়ে এখন রাজ্য সরকারকে উপযুক্ত পরিমাণ চালের জোগান দিতে জেলায় সাতাশটি রাইসমিল এখন রাতদিন এক করে কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। বর্তমান করোনা সংক্রামণের আতঙ্কের মাঝে শ্রমিকদের যাতে কাজ করতে কোন রকম সমস্যার সম্মুখীন না হতে হয় সেজন্য বিশেষ সর্তকতা অবলম্বন করা হয়েছে জেলা রাইসমিল অ্যাসোসিয়েশনের তরফ থেকে। রাইসমিলের ঢোকার আগেই হ্যান্ড স্যানিটাইজার দিয়ে হাত পরিষ্কার করে তারপরই মিলে ঢুকছেন শ্রমিকরা। কাজের সময়ও যাতে শ্রমিকরা মাস্ক পরে কাজ করেন সে জন্য শ্রমিকদের জন্য ব্যবস্থা করা হয়েছে মাস্কের। মিলে কাজের সময় যাতে কোন রকম সংক্রামন ছড়িয়ে না পড়ে সেজন্য শ্রমিকদের মধ্যে মধ্যেও চালু করা হয়েছে সামাজিক দূরত্ব। এতে যেমন সুরক্ষিত থাকবেন শ্রমিকরা তেমনই সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাবেন সাধারণ মানুষ।
রাইসমিল থেকে রপ্তানি হওয়া চাল যাতে সাধারণ মানুষের হাতে তুলে দেওয়ার সময়ও কোনো রকম সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ে সেজন্যও রেশন গ্রাহকদের সামাজিক দূরত্বের নির্দেশ দিয়েছে জেলা খাদ্য দফতর।