আমফান বিপর্যয়ের পর শহরের আনাচে-কানাচে ছড়িয়ে রয়েছে বিপর্যয়ের চিত্র। এখনো পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়নি। যেভাবে কলকাতা সহ দুই ২৪ পরগনায় তান্ডব চালিয়েছে আমফান তাতে এখনও পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে বলেই মনে করা হচ্ছে। গত ২৪ ঘন্টা পেরিয়ে গেলেও স্বাভাবিক পরিস্থিতি না হওয়ায় বাইপাস, বেহালা, তপসিয়ায়র রাস্তা অবরোধ করে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে এলাকাবাসী।
কিন্তু অন্যদিকে, জনজীবনকে স্বাভাবিক করতে প্রাণপণ চেষ্টা চালাচ্ছে পুরসভা এবং সিইএসসি। ঘূর্ণিঝড় যে হারে বাংলার ক্ষতি করেছে সেই আশঙ্কা আগেই করা হয়েছিল। আবহাওয়া দপ্তরের তরফ থেকে আগেই ঘূর্ণিঝড়ের ক্ষয়ক্ষতি পূর্বাভাস দেওয়া হয়েছিল। বুধবার ঘূর্ণিঝড় আমফানের বিপর্যয়ের শিকার উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া এবং হুগলি।
মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছেন ঘূর্ণিঝড় আমফানের ফলে মৃত্যু হয়েছে ৮০ জনের। পাশাপাশি নিহতদের পরিবার পিছু আড়াই লক্ষ টাকা অনুদান দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের কাছে সাহায্যের আর্জি জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে দরাজ সার্টিফিকেট দিয়ে বাংলার জন্য হাজার কোটি টাকার প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন প্রধানমন্ত্রী।