১৯৯৫ সালে সিপিএম তৎকালীন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী জ্যোতি বসুকে কাঁথি পুরসভার ভোট প্রচারে নিয়ে এসে ছিলেন। জ্যোতি বসুর মতো ‘ন্যাশনাল লিডার’ কাঁথির খাসমহল ময়দানে মুগবেড়িয়া, খেজুরি থেকে লোক নিয়ে মাঠ ভরিয়েছিল। তাঁর মতো বড়ো মাপের ‘ন্যাশনাল লিডার’ এখানে জনসভা করে কাঁথির মানুষকে ও কাঁথি পুরসভাকে টলাতে পারেনি। আরও তার আগে চলে যান ১৯৮৭ সালে। ধনদিঘীর ফাঁকা মাঠে তৎকালীন প্রধান মন্ত্রী রাজীব গান্ধীকে আনা হয়েছিল শিশির বাবুর গদিকে টলানোর জন্য। ভোট প্রচারের জন্য মাইক বাঁধা হয়ে ছিল। তাঁর মতো বড়ো লিডার গদি টলাতে পারেনি। জেতাতে পারেনি তাঁর মনোনীত প্রার্থীকে। আর এরা তো কোন ছার! রবিবার আসন্ন কাঁথি পুরসভার কর্মী সম্মেলনে পুনরায় ২১-০ করার ডাক দিলেন রাজ্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তবে নাম না করে মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীকে অবশ্য কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপি। কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি অনুপ চক্রবর্তী বলেন, “রাজনীতিতে রাজনৈতিক দলই প্রতিষ্ঠিত হয়।আমার মনে হয় যিনি এই ভাবনা প্রকাশ করছেন, তাঁর কোন দলের প্রতি নিষ্ঠা নেই। আমার প্রশ্ন? কাঁথি কার দখলে ছিল! কোন একটি রাজনৈতিক দলের না ব্যক্তির। কোন এক ব্যক্তি গনতন্ত্রকে হত্যা করে নিজের নামে রাজনীতি করে কেবল নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং তারজন্য গনতন্ত্রের ধার না ধেরে কুখ্যাত হয়ে বিখ্যাত হওয়া।”