করোনার মারণ থাবায় বিধ্বস্ত গোটা পৃথিবী। ভেঙে পড়েছে অনেক ছোট ছোট কুটির শিল্প। বিপন্ন প্রতিমা গড়ার শিল্পীরাও। লকডাউন ঘোষণার পর থেকে আর তেমন কাজ নেই। হাতে থাকা টাকা খরচ হয়ে গেছে বাসন্তী প্রতিমা তৈরিতে। কিন্তু লকডাউনের জেরে কোথাও পুজো হয়নি। ফলে প্রতিমা নিতে আসেনি পুজো উদ্যোক্তারা। ঘরের ঠাকুর রয়ে গেছে ঘরেই। অন্যান্য বছর এতদিনে বেশিরভাগ পুজো উদ্যোক্তারা দুর্গা প্রতিমার বায়না সেরে ফেলেন। সেই মোতাবেক দিন রাত এক করে কাজে ব্যস্ত থাকেন প্রতিমা শিল্পীরা। কিন্তু এবছর বায়না তো দুরস্থ, অনেক উদ্যোক্তারা পুজো না করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। এই অবস্থায় বারোমাসের পুজো গুলোও বন্ধ। ফলত বেশ কষ্টে প্রতিমা শিল্পীরা।
এমনটাই বলছেন প্রায় অর্ধশতক ধরে প্রতিমা শিল্পের সাথে যুক্ত বনগাঁ তালতলার শিল্পী লক্ষণ পাল। প্রতিমা শিল্পীদের কথা অনুযায়ী তাঁরা বাজার থেকে ও ব্যাংক থেকে টাকা ধার করে প্রতিমা তৈরির সরঞ্জাম কেনেন। সহকারী কর্মচারীদের বেতন দেন। কিন্তু বর্তমান প্রেক্ষিতে সব বারোয়ারি পুজো বন্ধ। তাই প্রতিমার বিক্রি নেই। পক্ষান্তরে বাড়ছে ঋণের বোঝা। সবমিলিয়ে অতি কষ্টে দিন গুজরান করতে হচ্ছে তাঁদের। তাই এমতাবস্থায় সরকারের কাছে সহযোগিতার আর্তি জানানো ছাড়া কোন দিশা খুজে পাচ্ছেন না প্রতিমা শিল্পীরা।