শহরের দু’জায়গায় দুই তরুণীর অস্বাভাবিক মৃত্যুর ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে এলাকায়। ঘটনাগুলি ঘটেছে, তপসিয়া থানা এলাকায় ও যাদবপুরের পোদ্দারনগর এলাকায়। সূত্রের খবর, এদিন দারাপাড়া বস্তি এলাকার বাসিন্দা বছর আঠারোর মুসকান বেগম নামে এক তরুণীকে অচৈতন্য অবস্থায় তাঁর শ্বশুরবাড়ির লোকজন তাঁকে ভর্তি করে ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে। সেখানে কর্তব্যরত চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষার মাধ্যমে দেখেন তরুণীর গলায় ফাঁসের চিহ্ন। এরপরই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে। তৎক্ষনাৎ পুলিশে খবর গেলে পুলিশ এসে দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। এদিকে ওই মৃত তরুনীর দিদি সাহিনা খাতুন তপসিয়া থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে যে, তাঁর বোনকে খুন করা হয়েছে। আর খুন করেছে তাঁর বোনের স্বামী। সে পুলিশকে জানায়, বিয়ের পর থেকেই তার বোনের উপর অমানবিক অত্যাচার চালাত বোনের স্বামী। পুলিশ তদন্তের ভিত্তিতে ওই তরুনীর স্বামী সাজ্জাদকে গ্রেফতার করে। বৃহস্পতিবার সাজ্জাদকে আদালতে তোলা হলে ১৮ মার্চ পর্যন্ত পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন বিচারক। অন্যদিকে, বুধবার পোদ্দারনগরে চারতলা একটি ফ্ল্যাটের তেতলার ঘর থেকে উদ্ধার হয় রুমা সাহা (৩১) নামে এক তরুণীর ঝুলন্ত দেহ। পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, রুমার স্বামী নির্মাণ সামগ্রীর ব্যবসা করেন। তাঁদের একটি সন্তানও আছে। ওই তরুণীর পরিজনদের অভিযোগ, তাঁর স্বামী প্রায়ই নেশাগ্রস্ত অবস্থায় বাড়ি ফিরতেন। এই নিয়ে দম্পতির মধ্যে অশান্তিও হত। এর জেরেই এই ঘটনা। মৃতার স্বামী-সহ শ্বশুরবাড়ির লোকজনের বিরুদ্ধে আত্মহত্যায় প্ররোচনা এবং বধূ নির্যাতনের মামলা রুজু করা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।