নিজস্ব প্রতিনিধি বালুরঘাট ; আধার কার্ড হারিয়ে যাওয়ার ফলে ব্যাংক থেকে বার্ধ্যক ভাতা তুলতে না পারায় অসহায় অবস্থায় দিন কাটছে ৮০ উর্দ্ধ এক বৃদ্ধ। এমনিতেই তিনি পরিবার পরিজন ছেড়ে একাই থাকেন রাস্তার ধারে পরিতক্ত একটি ঘরে। অন্তত অস্বাস্থ্যকর অবস্থ্যায় মাটির উপর ছেড়া কাথায় শুয়ে বসে দিন কাটছে তার। কেউ কিছু দিলে খাবার জোটে না পেলে অভুক্ত অবস্থায় দিন কাটে তার। অথচ ব্যাংকে তার একাউন্টে ২৫ হাজার টাকা সরকারি বার্ধ্যক ভাতার অর্থরাশি পড়ে রয়েছে।কিন্তু স্রেফ আধার কার্ড বা রেশন কার্ড হারিয়ে যাওয়ায় সেই টাকা তুলতে পারছেন না তিনি। হ্যা এমন বেদনাদায়ক চিত্রটি উঠে এসেছে দক্ষিন দিনাজপুর জেলার বালুরঘাট থানার পতিরাম এলাকার ৫১২ নম্বর জাতীয় সড়কের ধারে থাকা লক্ষীপুর বাজারে।
আশি উর্দ্ধো ওই চালক শক্তিহীন বৃদ্ধের নাম দ্বিজেন মন্ডল। নিজের বলতে কেউ নেই। ৫০ বছর ধরে রিক্সা চালিয়ে এখন বয়সের ভারে অনেকটা পংগ্যুতের শিকার। তাই তেমন ভাবে চলা ফেরা করতেও পারেন না তিনি। দুবেলা দুমুঠো খেয়ে বেচে থাকার জন্য ব্যাংক ও সরকারের কাছে হাত জোড় করে আবেদন জানিয়েছেন। তাকে তার প্রাপ্য টাকা তুলতে দেওয়া হোক। কিন্তু এই লকডাউনের জেরে শুনশান রাস্তার ধারে অর্ধহারে পড়ে থাকা বৃদ্ধের আবেদনে সাড়া দেবার ব্যাপারে কারো কোন হেল দোল নেই বলে অশতিপর বৃদ্ধের অভিযোগ নয় ঝড়ে পড়লো একরাশ অভিমান।
স্থানিও সুত্রে জানা গেছে দ্বিজেন মন্ডলের আদিবাড়ি ছিল এই লক্ষীপুর থেকে এক কি মি দূরে মনিপুর গ্রামে। কিন্তু পরিবারের কেউ না থাকায় চালক শক্তিহীন এই বৃদ্ধ গত পাচ বছর ধরেই এই জাতীয় সড়কের ধারের এই পরতিক্ত ঘরটিকেই নিজের আস্তানা বানিয়ে নিয়েছেন।স্থানিও মানুষ দয়াপরবেশে কিছু খাবার দিলে তার আহার জোটে না দিলেই অর্ধাহারে থাকতে হয় তাকে।