গত বৃহস্পতিবারের পর আজ অর্থাৎ মঙ্গলবার রাতে করোনার জেরে ভয়াবহ পরিস্থিতি নিয়ে সমগ্র জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।সূত্রের খবর, এই মারন ভাইরাস নিয়ে দ্বিতীয়বারের জন্য দেশবাসীর উদ্দ্যেশে ভাষণ দেবেন তিনি।
দিনের পর দিন করোনা ভাইরাস যে ভাবে তার সংক্রমন ও তার আতঙ্কের চরম সীমায় পৌছাচ্ছে, সে দিকে নজরে রেখে করোনা রুখতে দেশবাসীকে ২২ মার্চ সকাল সাতটা থেকে রাত নটা পর্যন্ত জনতা কারফিউ পালন করার ডাক দিয়েছিলেন তিনি। একই সঙ্গে তিনি জরুরি পরিষেবার সঙ্গে যুক্তদের অভিবাদন জানাতে জনতা কারফিউয়ের দিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ নিজেদের বাড়ির বারান্দায় এসে করতালি, কাঁসর-ঘণ্টা বাজানোর জন্য অনুরোধও করেছিলেন। যাতে স্বতঃস্ফূর্তভাবে সাড়া দিয়েছিলেন দেশের মানুষ। কিন্তু এই করোনা ভাইরাসের সংক্রমনকে আটকাতে ওই এক দিনের কার্ফু কাফি নয় বুঝতে পেরে মেট্রো,রেল পরিষেবা থেকে শুরু করে লকডাউন করা হয়েছে দেশের প্রতিটি অংশে।
এই মুহূর্তে ভারতে মৃতের সংখ্যা ১১ ও আক্রান্তের সংখ্যা পাঁচশোর কাছাকাছি। তাই ২৩টি রাজ্য ও ৭ কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে লকডাউনকে হাতিয়ার করে করোনার স্টেজ-থ্রি বা তৃতীয় পর্যায়ের সংক্রমণ আটকাতে মরিয়া দেশবাসী। শত চেষ্টার পরও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে কঠিন হয়ে পড়ছে এই বেঁচে থাকার লড়াই। তবে অন্য দিকে এই সর্তকতার মাঝেও এক শ্রেনীর মানুষদের এই লকডাউনের তোয়াক্কা না করে আইন ভেঙে তারা বাইরে বেরচ্ছেন, নিজেদের সুরক্ষার ভাবনা উড়িয়ে। যা নিয়ে রবিবার টুইটে ক্ষোভ প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বলেন, “অনেকেই লকডাউনের বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছেন না। কিন্তু নিজের জন্য, পরিবারের জন্য সরকারের সমস্ত নির্দেশিকা মেনে চলুন।”