December 28, 2025

TV Bangla New Agency

Just another WordPress site

আখ কাটার প্রস্তুতি সহ গুড় তৈরি কেশিয়াড়ীর নছিপুরে!

শান্তনু পান, পশ্চিম মেদিনীপুর:- বাজারে চিনির কদর বেশী থাকলেও গুড়ের চাহিদাও কম নয়। পার্বণ হোক বা উৎসব সবেতেই ব্যবহার হয়ে থাকে গুড়ের। আখের গুড়ের চাহিদা সারাবছরই থাকে গ্রামীণ এলাকাগুলিতে। পিঠে পুলি থেকে পায়েস সবেতেই জুড়ি মেলা ভার গুড়ের। সুবর্ণরেখা তীরবর্তী এলাকাগুলিতে পৌষপার্বণ উপলক্ষ্যে বেশ গুড়ের চাহিদা একটু বেশিই থাকে। নদী পার্শবর্তী এলাকাগুলিতে যথেষ্ট পরিমাণে হয় আখের চাষ। যে আখের রস থেকেই তৈরি হয়ে থাকে গুড়ের, সেই আখ কাটার প্রস্তুতি সহ গুড় তৈরির এমনই চিত্র দেখা গেল কেশিয়াড়ী ব্লকের নছিপুর ও বাঘাস্তি গ্রাম পঞ্চায়েতের বিস্তীর্ণ এলাকায়।

এই এলাকাগুলিতে মূলত আখ,সব্জি সহ কাঁচা আনাজের চাষ হয়ে থাকে, যা গ্রামীণ হাট ও শহরের এলাকাগুলিতে চাহিদা মেটায়। আখ তুলতে ব্যস্ত চাষীরা। কোদাল ও কাটারী দিয়ে আখ কাটার পর মেশিনের সাহায্যে বিশেষ পদ্ধতিতে আখের রস বের করার কাজ চলছে জমিতেই। ঠিক যেমন আমরা আখের রসের দোকানে যেভাবে দেখতে পাই ঠিক সেইভাবেই মেশিনের সাহায্যে পেষাই যন্ত্রে নিংড়ে বের করা হচ্ছে রস।

এই বছর আখের চাষ ভালোই হয়েছে, তবে নিজস্ব জমিতে আখ চাষে যেমন লাভ হয় খাজনা চাষে তেমন লাভ হয়না বলে জানালেন কাটামাটিয়া এলাকার আখচাষী গৌরহরি পাতর। আখের রসের কাজ চলবে চৈত্র মাস পর্যন্ত এমনটাই জানালেন তিনি। অপর এক চাষী চৈতন্য সাঁতরার দাবী, করোনা আবহে শ্রমিকের যোগান নেই, চাষে তেমন লাভ হচ্ছে না। গুড় গরম করে তা প্রক্রিয়াজাত করতে অনেক খরচ, সে হারে লাভ হয়না বলে জানান তিনি। একটা বড় পাত্রে আখের রস ফুটিয়ে প্রায় ২৭ কেজি গুড় তৈরি হয়, যা ৪ টি মাটির কলসীর সমান। কলসী করেই গুড় চলে যায় অন্যত্র। সবটাই মজুর দিয়ে কাজ করানোর জন্য খরচ হয়ে যাচ্ছে এবং হাতির হানায় বেশ ক্ষতি হয়েছে আখ চাষে। এমনটাই জানালেন আখচাষী বাদলচন্দ্র ঘোষ।

সবমিলিয়ে হাতির হানা ও করোনা আবহ যে অনেকটাই প্রভাব ফেলেছে তা মানছেন সকলেই।