কেশপুর:-শুক্রবার গভীর রাতে রাতের অন্ধকারে পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার কেশপুর ব্লকের এক নম্বর শোলিডিহা অঞ্চল তৃণমূল কংগ্রেসের কার্যালয়ের সাটার কেটে ভিতরে ঢুকে বিজেপি আশ্রিত দুস্কৃতিরা পাটি অফিসে থাকা টিভি সহ সমস্ত জিনিস পত্র লুঠ করে নিয়ে যাওয়ার পাশাপাশি পাটি অফিসে ব্যাপক ভাঙচুর চালায় ও পাটি অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয় বলে তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ।শনিবার ভোরে তৃনমূলের পাটি অফিস থেকে আগুনের ধোঁয়া বেরুতে দেখেন এলাকার বাসিন্দারা।ওই ঘটনার খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে তৃনমূলের নেতা ও কর্মীরা।স্থানীয় বাসিন্দাদের সহযোগিতায় তারা আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। তৃণমূল কংগ্রেসের অভিযোগ এলাকায় উত্তেজনা সৃষ্টি করার জন্য সুকৌশলে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীদের ঘটনাটি ঘটিয়েছে। আনন্দপুর থানায় তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে ।তবে ওই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন কেশপুরের বিধায়ক শিউলি সাহা। তিনি বলেন বিজেপি হিংসা ও সন্ত্রাসের রাজনীতি শুরু করেছে। বিধানসভা নির্বাচনের আগে কেশপুর বিধানসভা কেন্দ্রে অশান্তির সৃষ্টি করার জন্য বিজেপির চক্রান্ত ব্যর্থ হবে। বিজেপির সাথে মানুষ নেই তাই হিংসা কে হাতিয়ার করে বিধানসভা নির্বাচনে এলাকাকে উত্তপ্ত করতে চাইছে। তিনি পুলিশকে ওই ঘটনার তদন্ত করে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার আবেদন জানান। সেই সঙ্গে তিনি বলেন গত ২১ শে জানুয়ারি আনন্দপুর থানা এলাকায় দুটি দলীয় পার্টি অফিস ভাঙচুর করে আগুন ধরিয়ে দিয়েছিল বিজেপি। বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারীর উসকানিমূলক বক্তব্যের জন্য এ ধরনের ঘটনা ঘটেছে ।তিনি বলেন মানুষ কাদের সাথে আছে তা বিধানসভা নির্বাচনে প্রমাণ হবে ।তবে তিনি দলীয় কর্মীদের শান্ত থাকার নির্দেশ দেন।আনন্দপুর থানার পুলিশ অভিযোগ পাওয়ার পর ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে ।তবে ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে এলাকায় চাপা উত্তেজনা রয়েছে। ক্ষোভে ফুঁসছেন এলাকার তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী ও সমর্থকরা। তারা পুলিশকে অভিযুক্ত দের দ্রুত গ্রেপ্তার করার দাবি জানিয়েছে। তবে বিজেপি দলের পক্ষ থেকে তৃণমূল কংগ্রেসের আনা অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে।