বিধানসভায় ২০২০-২০২১ অর্থবর্ষের রাজ্য বাজেট পেশ করলেন অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। বাজেট বক্তৃতায় মোট ১১টি নতুন প্রকল্পের ঘোষণা করলেন তিনি। তিনি ঘোষণা করলেন- আগামী ৩ বছর ১০০ টি নতুন MSME পার্কের জন্য ২০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব। সিভিল সার্ভিস পরীক্ষায় বাংলার পডুয়াদের উৎসাহ প্রদানের লক্ষ্যে কলকাতা, শিলিগুড়ি ও দুর্গাপুরে ‘মহাত্মা গান্ধী, জয় হিন্দ ও আজাদ’ নামে ৩টি সিভিল সার্ভিস অ্যাকাডেমি তৈরি করা হবে। ২ হাজার ৭৪৪টি বাংলা সহায়তা কেন্দ্র থেকে কন্যাশ্রী ও বিভিন্ন সার্টিফিকেট পাওয়া যাবে। অনগ্রসর জাতির জন্য বরাদ্দ করা হবে ৮০৫.১০ কোটি টাকা। উপজাতি উন্নয়নে বরাদ্দ ৯৩৫ কোটি টাকা। সংখ্যালঘুদের জন্য ৩ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব। ‘বন্ধু’ প্রকল্পে তফশিলি জাতির অন্তর্ভুক্ত বয়স্কদের জন্য মাসে ১০০০ টাকা করে বার্ধ্যকভাতা। ‘হাসির আলো’ প্রকল্প- গরিব মানুষদের জন্য বিদ্যুৎ প্রকল্প। বরাদ্দ ২০০ কোটি টাকা। ‘চা সুন্দরী’ প্রকল্প- চা শ্রমিদের জন্য বরাদ্দ ৫০০ কোটি টাকা। চা বাগানের গৃহহীন শ্রমিকদের আবাসন দেওয়ার লক্ষ্যে এই প্রকল্প। ‘কর্মসাথী’ প্রকল্প- আগামী এক বছর বেকার যুবক-যুবতীদের কর্মসংস্থানের লক্ষ্যে সমবায় ব্যাঙ্কের মাধ্যমে ঋণদানের ব্যবস্থা। প্রতিবছর ১ লাখ কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করা হবে। ৫০০ কোটি টাকা বরাদ্দ। ‘জয় জহর’ প্রকল্পে তফশিলি উপজাতি বয়স্কদের ১০০০ টাকা করে বার্ধক্যভাতা দেওয়া হবে। বিরসা মুন্ডা বিশ্ববিদ্যালয়, আম্বেদকর বিশ্ববিদ্যালয় সহ রাজ্যে আরও নতুন ৩টি বিশ্ববিদ্যালয় আগামী বছরে। বরাদ্দ ৫০ কোটি টাকা। ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পের জন্য ‘বাংলাশ্রী’ প্রকল্প, বরাদ্দ ১০০ কোটি। বিনামূল্য সামাজিক সুরক্ষা প্রকল্প, বরাদ্দ ৫০০ কোটি.। এর সব খরচ রাজ্য সরকার নিজে দেবে। দেড় কোটি পরিবার উপকৃত হবে। ১০০ দিনের কাজ, ক্ষুদ্র শিল্প, গ্রামীণ গৃহ নির্মাণ, গ্রামীণ রাস্তা নির্মাণ, স্কিল ডেভেলপমেন্ট, ইজ অফ গোয়িং বিজনেস, ই-টেন্ডারিংয়ে বাংলা প্রথম। সর্বপরি এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা কবিতা পাঠ করে বাজেট বক্তৃতা শেষ করলেন অর্থমন্ত্রী।