মালদা; লকডাউন আবহে ভিনরাজ্য ফেরত হয়েছেন স্বামী। বর্তমানে কর্মহীনতা ঘুচাতে ক্ষেতমজুরের কাজে যোগ দিয়েছেন। দৈনিক মাঠে অন্যের জমিতে কাজ করেই চলে সংসার। স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন গৃহবধূ,তবে স্বামীর কাজেও সহযোগীতার হাত বাড়িয়ে দেন।
এক ২ দুই বছরের শিশু কন্যা নিয়ে সংসার ও দুস্থ দম্পতির। চাষের জমি নেই, মরসুম অনুযায়ী এলাকার কৃষকদের ফসল কেটেই জোগান হয় সর্ব বৎসরের আহার। দুস্থ হলেও স্বস্তিতেই জীবনাযাপন চলছিল ওই দম্পতির।
হঠাৎ এক দুর্ঘটনায় নিশ্চিহ্ন হয়ে গেল সব। প্রতিদিনের মতো তৈয়ব আলী মাঠের কাজে গিয়েছিলেন শনিবারও। মাঠের কাজ সেরেই বাড়ী ফিরবে স্বামী।
স্ত্রী মনোয়ারা খাতুন তড়িঘড়ি উনুনে হাড়ী চাপায়। রান্না চাপিয়ে আনাজ ঘরে আনাজ সামগ্রী আনতে গিয়েই ঘটলো ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। চিৎকার শুরু করলে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় প্রতিবেশীরা। স্থানীয়রা আগুন নেভানোর কাজে ঝাঁপিয়ে পড়লেও শেষ রক্ষা হয়নি।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় মালদহের চাঁচল ১ নং ব্লকের ভগবানপুর পঞ্চায়েত এলাকার নয়নপুরে চাঞ্চল্য ছড়ায় এদিন।
স্থানীয় বাসিন্দা সাহাজান আলী জানান,
প্রতিবেশী বাড়ীগুলিতে আগুন ছড়াবার আগেই নিয়ন্ত্রণে আসে। তবে সবকিছু ভস্মীভূত হয়ে গেছে তৈয়বের।
ক্ষতিগ্রস্ত বধূ মনোওয়ারা খাতূন জানান, রেশনে যা চাল পেয়েছিলাম ঘরেই ছিল, এছাড়াও ধান, আসবাব পত্র, পোশাক সহ রান্না ঘরের সাথে একটি শোবার ঘর ভস্মীভূত হয়েছে।লক্ষাধিক টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবী করেছেন দম্পতি। বর্তমানে ঘর না থাকাই খোলা আকাশেই ঠাই হয়েছে এক শিশু সহ দম্পতির। দিন গুজরানে অস্বস্তিকর হয়ে ওঠেছে দুস্থ দম্পতির।
দুর্গতরা আবেদন করলে ব্লক প্রশাসনের তরফে সবরকম সাহায্য করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন চাঁচল ১ নং ব্লকের বিডিও সমীরণ ভট্টাচার্য্য।