পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নির্দেশে সরশুনা কাণ্ডে গ্রেপ্তার করা হল মূল অভিযুক্ত-সহ ২ জনকে। সূত্রের খবর, সোমবার গভীর রাতে মেটিয়াবুরুজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে প্রসেনজিৎ মণ্ডলকে। তাঁর থেকে পাওয়া তথ্যের ভিত্তিতে মঙ্গলবার সকালে গ্রেপ্তার করা হয় অপর অভিযুক্ত উজ্জ্বল নস্করকে। তাঁদের জিজ্ঞাসাবাদ করেই ঘটনার সঙ্গে জড়িত অন্যান্যদের খোঁজে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। সরস্বতী পুজোর রাতে। এদিন রাতে বাস থেকে নেমে হেঁটে বাড়ি ফিরছিলেন সরশুনার বাসিন্দা এক ব্যক্তি। তখনই এক দুষ্কৃতী তাঁর পিছু নেয়। তিনি কিছুটা এগিয়ে গেলে তাঁর কাছ থেকে টাকা চায় অভিযুক্ত। এরপরই আচমকা হামলা চালায় তাঁর উপর। একটু দূরেই একটি ক্লাবে সরস্বতী পুজো হচ্ছিল। ওই ব্যক্তি দৌড়ে ক্লাবের কাছে যান। দুষ্কৃতীও তাঁর পিছু নিয়ে সেখানে যান। ক্লাবের কাছে গিয়ে অশান্তি শুরু করে তাঁরা। ক্লাবের কর্মকর্তারা ওই ব্যক্তিকে বাঁচানোর জন্য রুখে দাঁড়ান। বিশেষ করে ক্লাবের সদস্য সুব্রত মুখোপাধ্যায় প্রতিবাদ করেন। বাধ্য হয়ে তখনকার মতো এলাকা ছাড়ে অভিযুক্ত দুষ্কৃতী।
এরপর সেদিন গভীর রাতেই সুব্রতবাবুর বাড়ির সামনে হামলা চালায় দুষ্কৃতীরা। ব্যাপক বোমাবাজি করা হয় সেখানে। আতঙ্কগ্রস্ত হয়ে পড়েন সুব্রতবাবুর পরিবারের সদস্যরা। সকালে বাড়ির সামনে একটি তাজা বোমাও পড়ে থাকতে দেখা যায়। খবর পেয়ে সরশুনা থানার পুলিশ ও বম্ব স্কোয়াড ঘটনাস্থলে যায়। বিষয়টি জানতে পেরে সোমবার সুব্রতবাবুর বাড়িতে যান শিক্ষামন্ত্রী। সেখান থেকে বেরিয়ে দ্রুতই অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের নির্দেশ দেন তিনি। এরপরই মেটিয়াবুরুজ এলাকায় অভিযান চালিয়ে মূল অভিযুক্ত প্রসেনজিৎ মণ্ডলকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পুলিশের জালে আরও এক অভিযুক্ত।