হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে প্রয়াত হলেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগনার বজবজ ব্লক-১ এর যুব তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা শ্রীমন্ত বৈদ্য। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৩৭ বছর, তার স্ত্রী ও দুই কন্যা বর্তমান। পারিবারিক সূত্রে খবর রবিবার রাতে একাই নিজের ঘরে শুয়ে ছিলেন হঠাৎ তার বুকে ব্যথা অনুভব হওয়ায় সে কোনরকমে দরজা খুলে বাইরে বেরিয়ে চেঁচিয়ে বাড়ির লোককে ডেকে, বারান্দায় পড়ে যায়। বাড়ির লোকজন বজবজের একটি বেসরকারি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করায়। কিন্তু অবস্থার অবনতি হওয়ায় প্রথমে কলকাতায় সি এম আর আই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়, পরে এসএসকেএম এ নিয়ে যাওয়া হয়। সোমবার ভোরে সেখানেই মৃত্যু হয় তৃণমূল যুব নেতার।শ্রীমন্ত বৈদ্যের রাজনৈতিক কর্মজীবন শুরু হয় ২০১১ সালের মাঝামাঝি। বজবজ ১ নম্বর ব্লকের বুইতা অঞ্চলের সভাপতি হন তিনি। ২০১৫ তে বজবজ ১ নম্বর ব্লক তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতিও হন। একটু একটু করে ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ ও তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সান্নিধ্যে আসেন তিনি। বজবজ বিধানসভা সহ, পূজালি, বজবজ ও মহেশতলা পুরসভার অবজারভারের দায়িত্বও পান। পরবর্তী সময়ে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সহ-সভাপতি, ২০১৮ সালে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা পরিষদের পূর্ত ও পরিবহন এর কর্মাধ্যক্ষ হন। রবিবার আমতলা থেকে শিরাকোল পর্যন্ত এনআরসি বিরোধী পদযাত্রায় সামিল হয়েছিলেন তিনি। যুব নেতার মৃত্যুতে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব গভীরভাবে শোকাহত। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন ডায়মন্ডহারবারের সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। জেলা তৃণমূল যুব কংগ্রেসের সভাপতি শওকত আলি মোল্লা শ্রীমন্ত বাবুর মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন। তৃণমূল সূত্রে জানা গিয়েছে, এসএসকেএম হাসপাতালে ময়নাতদন্তের পর তাঁর দেহ আনা হবে আলীপুর জেলা পরিষদ ভবনে। সেখানে পূর্ত ও পরিবহন কর্মাধ্যক্ষের মরদেহে মাল্যদান করবেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় সহ, জেলা পরিষদ সভাধিপতি ও বিভিন্ন দপ্তরের কর্মাধ্যক্ষরা। তারপর বিকেল চারটে নাগাদ মৃতদেহ আনা হবে তাঁর বাড়িতে। শেষ যাত্রায় শওকত আলী মোল্লা সহ উপস্থিত ছিলেন বিষ্ণুপুরে বিধায়ক দিলীপ মন্ডল ও বজবজের বিধায়ক শ্রী অশোক দেব ফলতা তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জাহাঙ্গীর খান সহ জেলার বিভিন্ন তৃণমূল কংগ্রেসের কয়েক হাজার কর্মী সমর্থক ও নেতা নেতৃবর্গ উপস্থিত ছিলেন।