নিজস্ব সংবাদদাতা পূর্ব মেদিনীপুর:– প্রায় চার মাস। করোনা ক্রান্তিকালে সারা বিশ্বের সাথে সারা ভারতবর্ষ আজ বীপর্যস্ত। বিশেষ করে দিন আনে দিন খায় , এমন শ্রমজীবীদের কাজকর্ম হারিয়ে দিশেহারা অবস্থা। বহু পেশার মানুষ এই করোনা আবহে সংসারে তীব্র অনটনের স্বীকার হয়েছেন। যারা বিভিন্ন মেলা উৎসব অনুষ্ঠানের মূল কারিগর তারা গত চারমাস যেমন বেকার আবার আগামী দিনেও কবে সব স্বাভাবিক হবে তবে কাজ শুরু হবে সেই অপেক্ষায় চাতকবারির মত হা পিত্তেস করে দিন কাটাচ্ছেন। বাঙালির বারো মাসের তেরো পার্বণে বিভিন্ন পুজো উৎসব অনুষ্ঠান মেলা ও সভা সমাবেশে যারা মৃৎশিল্পী প্রতিমা বা মূর্তি গড়েন, প্যান্ডেল শ্রমিক, লাইট বা আলোকসজ্জায় যারা কাজ করেন, যারা মাইকের দায়িত্বপালন করেন, অনেকে ভিডিও ক্যামেরা করেন, ক্যাটারিংয়ের সাথে যারা যুক্ত, দিনরাত এক করে কঠোর শ্রম ও শিল্প নৈপুণ্যে যে শিল্পী ও শ্রমিকরা কত রকম থিম বানিয়ে মানুষদের আনন্দ দেন, অর্থনৈতিক দিক থেকে তাদের অবস্থা ক্রমশঃ সঙ্গিন হয়ে উঠছে। খুব তাড়াতাড়ি স্বাভাবিক হবে বলে মনেও হচ্ছেনা। এই অবস্থায় তাদের পাশে দাঁড়ালো কোলাঘাটের একটি স্বেচ্ছা সেবী প্রতিষ্ঠান সংকেত। 12 , জুলাই কোলাঘাট নতুন বাজারে এই ধরনের করোনা আবহ পীড়িত প্রায় একশোটি পরিবারের মধ্যে সরিষারতেল, ডাল, মশলা, চিড়ে, চিনি সাবান মিলিয়ে প্রায় পাঁচ কেজি করে চোদ্দো দফা ভূষিমাল সামগ্রি বন্টনকরা হয় প্রতি পরিবার পিছু। সংস্থার পক্ষে রবীন্দ্রনাথ দাস জানান, জনতা কার্ফুর আগে থেকেই এই বিষয়ে গত প্রায় চার মাস তারা সুন্দরবন, সাগরদ্বীপে ও কোলাঘাটে বিরামহীন ভাবে জনহিতকর নানাবিধ কর্মসূচি সংগঠিত করে চলেছেন। এইভাবে বিভিন্ন পুজো কমিটি, মেলা উৎসব অনুষ্ঠান কমিটি গুলো যদি যে যার এলাকায় এদের পাশে দাঁড়ায় তাহলে লাইট মাইক প্যান্ডেল মৃৎশিল্পী থেকে ক্যাটারিংয়ের কাজে যুক্ত শ্রমিকদের মুখে হাসি না ফুটলেও একটু হলেও কোন রকমে বেঁচেবর্তে থাকার শক্তি টুকু পাবে। সংস্থার পক্ষে শান্তনু সরকার জানান, g সপ্তাহে আরো দুশোটি পরবারকে এইরূপ সাহায্য করা হবে।