১৯৭৩-এ ভারতীয় সিনেমার রাজকুমারের বড়োপর্দায় নায়ক রুপে আগমন। ববি রলিজ হবার পর সারা দেশের প্রেমিককুলের প্রেম নিবেদনের একটাই মন্ত্র হয়ে ওঠে ‘ম্যায় শায়ের ত নেহি, মগর অ্যায় হাসিন’। সেই শুরু। তারপর কয়েক দশকে বলিউডের অধিপতি হয়ে উঠেছেন সেই রাজকুমার। প্রেমরোগ, হাম কিসিসে কম নেহি, জামানে কো দিখানা হ্যায়, সাগর, খেল খেল মে, ল্যায়লা মজনু, ইয়ে ওয়াদা রাহা, বড়ে দিল ওয়ালে, বলিউড তথা ভারতীয় সিনেমা সত্যি কর্জদার থেকে গিয়েছে ঋষি কাপুরের।
১৯৫৫-তে শ্রী ৪২০ এর প্যার হুয়া ইকরার হুয়া গানে প্রথম আত্মপ্রকাশ ছোট্ট ঋষির। তারপর মেরা নাম জোকারে রাজ কাপুরের কিশোর বয়সের চরত্রে সাবলিল অভিনয়। নিজের দক্ষতা তখনই চিনিয়েছিলেন বলিউডের রাজকুমার। এরপর ৭০-এর দশকে অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে জুটি বেঁধে একে একে অভিনয় করেন অমর আকবর অ্যান্ঠেনি, নসিব, কুলি, আজুবার মত সুপারহিট ফিল্মে। দুজনের বন্ধুত্ব এতটাই দৃঢ় ছিল যে তাঁর জীবনের অন্যতম অন্তিম ছবি ১০২-নট আউট-এও অভিনয়ে মাতিয়েছেন দুজন। তাই তো আজ ঋষি বিদায় পালায় বন্ধু অমিতাভের একটাই কথা ” আমি বিধ্বস্ত” ১৯৫২ থেকে ২০২০ ৬৭ বছরের জীবন তাঁর সিগনেচার সোয়েটারের মতই বর্ণময়। ২০১৮ থেকে আক্রান্ত হন ক্যান্সারে। বুধবার গভীর রাতে শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে ভর্তি করা হয় মুম্বাইয়ের এক হাসপাতালে। বৃহস্পতিবার সকাল ৮.৩৫ নাগাদ সব ছেড়ে চলে গেলেন ঋষি। রেখে গেলেন স্ত্রী নিতু, পুত্র রণবীর, কন্যা রিদ্ধিমা সহ ভারতীয় সিনেমায় তাঁর অনন্য কীর্তি আর আসমুদ্রহিমাচলে তাঁর সহকর্মী ও অগণিত ভক্তদের মনের কখনও না ভোলা স্মৃতিগুলো।
আবারও একটি নক্ষত্র পতন দেশের মাটিতে। সাগর কিনারে থেকে আসমান সে আগে চলে গেলেন সবার প্রিয় চিন্টু। কিজানি, হয়তো বা কখনও স্মৃতিচারণের সময় হাতে গিটার নিয়ে হঠাত শোনা যাবে সেই অতি পরিচিত প্রশ্ন-‘ ক্যা কাভি তুমনে কিসিসে প্যার কিয়া? কিসিকো দিল দিয়া?’ বিদায় ঋষিরাজ, চাঁদনির দেশে ভালো থাকবেন।