কখনও দোকান বাজার, চিকিৎসাকেন্দ্র, আবার কখনও রাজ্যপুলিশের সদর দফতর লালবাজার বা ভবানী ভবন। সর্বত্রই উপস্থিত হচ্ছেন তিনি। পরিদর্শনের পাশাপাশি জেনে নিচ্ছেন পরিষেবায় যুক্ত ব্যক্তিদের হাল হকিকতও। “আপানাদের কোনও আসুবিধা হচ্ছেনা তো? সব ঠিক আছে তো? আরে এত কাছে নয়, দাঁড়াতে হবে আরও দূরে দূরে। দাও, আমি চিহ্ন করে দিচ্ছি।” ইনিই পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আর এবার করোনা মোকাবিলায় শুধু সরকারি উদ্যোগেই নিজেকে সীমাবদ্ধ রাখলেন না বাংলার দিদি। ব্যক্তিগত উপার্জন থেকেও এ বার টাকা দিলেন সরকারি তহবিলে। এমনকি প্রধানমন্ত্রী ত্রান তহবিলেও সমপরিমান টাকা দান করলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। ব্যক্তিগত উপার্জন থেকে মোট ১০ লক্ষ টাকা করোনা তহবিলে দেওয়ার কথা মঙ্গলবার জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রীর জাতীয় ত্রাণ তহবিলে। আর ৫ লক্ষ টাকা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রীর হাতে থাকা রাজ্য আপৎকালীন ত্রাণ তহবিলে।
এদিন তাঁর স্যোশাল সাইটে ত্রান তহবিলে অনুদানের কথা জানিয়ে মমতা লেখেন “আমি বিধায়ক বা মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে কোনও বেতন নিই না এবং সাত বারের সাংসদ হওয়া সত্ত্বেও আমার সাংসদ পেনশনও আমি ছেড়ে দিয়েছি। আমার যা রয়েছে, তা যৎসামান্যই। আমার সৃষ্টিশীল কাজকর্ম অর্থাৎ আমার গান এবং আমার লেখা বই থেকে আসা রয়্যালটি হল আমার উপার্জনের প্রাথমিক উৎস।”