দাবানলের আগুনের থেকেও অতি দূতহারে সংক্রমন ছড়াচ্ছে এই মারন করোনা ভাইরাস। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আতঙ্কের প্রকোপ ফেলেছে এই করোনা। আর এই ভাইরাসকে প্রতিহত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন বিঞ্জান মহল থেকে শুরু করে চিকিৎসকরা।
শুধু তাই নয় রবিবার রাত থেকে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা বাতিল করা হয়েছে । ফলে আন্তর্জাতিক বিমানগুলির উপর ভারতে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। অন্যদিকে বিমানের অপেক্ষায় বিমানবন্দরে প্রায় দুই রাত থাকার পর হতাশ হয়ে শেষে নিজেদের অ্যাপার্টমেন্টে ফিরে গিয়েছেন ম্যানিলায় আটকে থাকা পড়ুয়ারা। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়েছে ফিলিপিন্সেও। এখনও অবধি ভাইরাস আক্রান্ত হয়ে মৃতের সংখ্যা ২৫। সংক্রমিত অন্তত ৩৮০। ম্যানিলায় অনেক ভারতীয়র বাস, বেশিরভাগই পড়ুয়া। ফিলিপিন্সের এই করুণ দশা থেকে তাই ম্যানিলায় আটকে থাকা ভারতীয় পড়ুয়াদের উদ্ধার করতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি লিখে আবেদন করেন তারা। চিঠিতে তারা জানান, “দুই রাত বিমানবন্দরে কাটিয়েছি। আমরা বাড়ি ফিরতে চাই। প্রাণের ভয় পাচ্ছি।”তবে বিদেশ থেকে যাঁরা ভারতে ফিরেছেন তাঁদের থেকেই সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে দেশে। তাই সেই সংক্রমণ রোধেই বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে আন্তর্জাতিক বিমান পরিষেবা। একথা জেনেও কিছু পড়ুয়া দাবি করেন, তাঁরা দেশে ফিরে স্বেচ্ছায় কোয়ারেন্টাইনে চলে যাবেন। শুধু তাঁদের ফিরিয়ে নিয়ে যাওয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
তবে অন্যদিকে গতকাল মঙ্গলবার রাত ৮ টায় করোনা ভাইরাসের সংক্রমনকে আটকাতে সমগ্র দেশবাসিকে ঘড়ের ভিতরে থাকার বার্তা দেন এর সঙ্গে তিনি আরো বলেন দেশের এই সংকটময় পরিস্থিতিতে যে যেখানেই আছেন না কেন সেখানেই থাকুন। আপাতত দেশের এই করোনার সংকটময় পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত সমস্ত দেশবাসিকে ঘড়ের বাইরে না বেরোনোর বার্তা দেন।