অবশেষে খোয়া যাওয়া মোবাইলের সূত্র ধরে ৮ মাস পর কড়েয়া স্ট্রিটে বৃদ্ধ খুনের কিনারা করল পুলিশ। সূত্রের খবর, বৃদ্ধ খুনে অভিযুক্ত মুর্শিদ আলিকে গ্রেফতার করেছে হোমিসাইড শাখা। জানাযায়, ২০১৯ সালের ৫ জুন শেষবার বিশ্বজিৎ বসু নামে মৃত বৃদ্ধের সঙ্গে ফোনে কথা হয়েছিল তাঁর মেয়ের। কিন্তু পরের দিন বিশ্বজিৎ বাবুর মেয়ে তাকে একাধিকবার ফোন করলে ফোন ধরেন নি তিনি। ফলে বাধ্য হয়ে ৬ জুন বাড়িতে ছুটে যান বিশ্বজিৎ বাবুর মেয়ে। কিন্তু সেখানে যেতেই তার চক্ষু ছানা বড়া হয়ে যায়। তিনি দেখেন, ঘরের দরজা খোলা। ভিতরে গিয়ে আঁতকে ওঠেন তিনি। দেখেন চেয়ারে আধ শোওয়া অবস্থায় রয়েছেন তাঁর বাবা। গোটা শরীর রক্তে ভিজে গিয়েছে । এদিকে, বাড়ির ভিতরে আলমারির দরজাও খোলাই ছিল। লন্ডভন্ড প্রায় সবকিছুই। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় কড়েয়া থানার পুলিশ। বিশ্বজিৎ বসুর দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়। এরপরই শুরু হয় তদন্ত।
তদন্তে পুলিশের নজরে আসে মোবাইল উধাও হয়ে যাওয়ার ব্যাপারটি। যদিও প্রথমে খোয়া যাওয়া মোবাইলটি বন্ধ থাকায় তদন্তের রেশ কিছুটা কমে গিয়েছিল। তবে ভাগ্যক্রমে দীর্ঘদিন পর মোবাইলটি চালু হতেই ব্যবহারকারীর সঙ্গে যোগাযোগ করেন পুলিশ আধিকারিকরা। এরপর একের পর এক ৬ জনকে জিঞ্জাসাবাদ করার পর হদিশ মেলে বৃদ্ধ খুনে অভিযুক্ত মুর্শিদ আলির। এরপর শুক্রবার রাতে দক্ষিণ ২৪ পরগনা থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্রের খবর, পুলিশি জেরায় সমস্ত অভিযোগের কথা স্বীকার করেছে মুর্শিদ আলি।