February 5, 2025

TV Bangla New Agency

Just another WordPress site

নর্দমা সাফাইয়ের নামে ভাঙচুরের পর এলাকা পরিদর্শন করলেন মহকুমাশাসক

মালদাঃ- নর্দমা সাফাইয়ের নামে ভাঙচুরের পর এলাকা পরিদর্শন করলেন মহকুমাশাসক। রবিবার মালদহের চাঁচলে নর্দমা সাফাইয়ের নামে ভাঙচুরের পর কাজ বন্ধ হয়ে গিয়েছিল। সোমবার বারগাছিয়া এলাকায় নিজে দাঁড়িয়ে থেকে কাজের তদারকি করেন মহকুমাশাসক। পাশাপাশি তার নাম করে গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য ঠিক কাজ করেননি বলেও জানিয়েছেন। পাশাপাশি এদিন এলাকা পরিদর্শনে এসে এলাকায় রাস্তার পাশে স্তূপাকৃতি জঞ্জাল পড়ে থাকতে দেখেন মহকুমাশাসক।পাঁচমাস আগে বিডিওকে গণস্বাক্ষর করে জানানোর পরও ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তোলেন বাসিন্দারা। সঙ্গে সঙ্গে জেসিবি মেশিন ও ট্রাক্টর দিয়ে এনে সাফাইয়ের কাজও শুরু করেন মহকুমাশাক। মহকুমাশাসকের তৎপরতায় খুশি শহরের বাসিন্দারা।

সম্প্রতি চাঁচল বেহাল নিকাশি নালা সাফাইয়ে উদ্যোগী হয়েছে মহকুমা প্রশাসন। মহকুমাশাসক নিজে দাঁড়িয়েই অধিকাংশ এলাকায় কাজের তদারকি করছেন। কিন্তু রবিবার সকালে বারগাছিয়া এলাকায় মহকুমাশাসকের নির্দেশ রয়েছে বলে ভাঙচুর শুরু হয়। নেতৃত্ব দেন চাঁচল গ্রাম পঞ্চায়েতের সিপিএম সদস্য মজিমুল হক রব্বানির পাশাপাশি স্থানীয় তৃণমূল নেতা ইনতাজ হোসেন বলে অভিযোগ। ফলে কারোরই পরোয়া না করে জেসিবি মেশিন দিয়ে নর্দমার উপরে থাকা পাড়ায় ঢোকার জন্য প্রশাসনের বসানো কংক্রিটের পাটাতন, নিজেদের উদ্যোগে তৈরি বাড়িতে যাতায়াতের পাটাতন সবকিছুই ভেঙে ফেলা হয়। এছাড়া বাড়ির পাশে নিজেদের তৈরি বসার জায়গাও মেশিন দিয়ে ভেঙে ফেলা হয় বলে অভিযোগ। জেসিবি মেশিনের তান্ডবে ফাটল ধরে দেওয়ালেও। আর ওই পাটাতন ফেলে রাখা হয় রাস্তার উপরেই। ফলে বাড়ির পাশাপাশি রাস্তা দিয়ে যাতায়াতে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে বাসিন্দাদের। পরে ব্লক তৃণমূল সভাপতির বাধায় কাজ বন্ধ হয়ে যায়।

মহকুমাশাসক সঞ্জয় পাল বলেন, আমার নির্দেশ রয়েছে বলে রবিবার যা হয়েছে তা অন্যায়। এভাবে বাড়িতে, পাড়ায় ঢোকার রাস্তা ভাঙচুর করা ঠিক হয়নি। আমি নিজে থাকলে এমনটা হত না। ওই সদস্যকে ভর্তসনা করে ভবিষ্যতে যাতে এমন না হয় তা নিয়ে সতর্ক করা হয়েছে। ওই ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ করা হবে কি না সেই প্রশ্নে মহকুমাশাসক বলেন, আপাতত নর্দমা সাফাই করে জল বের করাটাই আমাদের মূল লক্ষ। পরে সমস্ত কিছুই খতিয়ে দেখে পদক্ষেপ করা হবে। আর যাতে এমন না হয় তা দেখতে পঞ্চায়েত কতৃপক্ষকে কড়া নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

প্রশাসনের নাম করে এই ধরনের কাজ একজন জনপ্রতিনিধির পক্ষে ঠিক নয়। মহাকুমা শাসক সঠিক পদক্ষেপ নিয়েছেন।এদিন মহকুমাশাসক নিজে কাজের তদারকি করায় খুশি বাসিন্দারা।