৬ মাসে একই ছাত্রীকে দু’বার অপহরণ করার ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায় হুগলির হিন্দমোটরের দেবাইপুকুর ব্যাংক পার্ক এলাকায়। সূত্রের খবর, মাস চারেক আগে টিউশন থেকে ফেরার পথে চতুর্থ শ্রেণির এই ছাত্রীকে অপহরণ করেছিল জনা কয়েক দুষ্কৃতী। এলাকারই মাঠের পাশে ল্যাম্পপোস্টের সঙ্গে তাঁকে বেঁধে রাখা হয়েছিল। অপহরণকারীদের চোখে ধুলো দিয়ে কোনওক্রমে বাঁধন খুলে সে পালাতে সক্ষম হয়। এরপরই পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছিলেন ওই ছত্রীর বাবা। কিন্তু সেই তদন্ত শেষে অভিযুক্তরা ধরা পড়তে না পড়তেই ফের অপহরণের ঘটনা ঘটল ওই ছাত্রীর সাথে। এবিষয়ে ছাত্রীর বাবার অভিযোগ, গত ১ ফেব্রুয়ারি সন্ধেবেলা প্রতিবেশীর বাড়িতে গিয়েছিল মেয়ে। সেখান থেকে ফেরার পথে গাড়ি করে দুষ্কৃতীরা তাকে তুলে নিয়ে যায়। স্প্রে করে মেয়েকে অচৈতন্য করে দেওয়া হয়। এরপর বাড়ি থেকে আট-দশটা বাড়ির পিছনে একটি সেপটিক ট্যাঙ্কের উপর ফেলে রেখে পালায় দুষ্কৃতীরা। ওই বাড়ির গৃহকর্ত্রী মেয়েটিকে দেখে তার বাঁধন খুলে খবর দেন তাকে । খবর পেয়েই বাবা ছুটে এসে মেয়েকে নিয়ে যান। তবে প্রাথমিক আতঙ্ক কাটিয়ে চতুর্থ শ্রেণির ছাত্রীটি জানিয়েছে,যে দুই মহিলা তার মুখ বেঁধে গাড়িতে তুলে নিয়েছিল। তবে প্রশ্ন উঠছে, এখন এরা কারা?
তবে অন্যদিকে স্থানীয় সূত্রে খবর, ছাত্রীর বাবার আগে বড়সড় ব্যবসা ছিল। তাতে লোকসান হওয়ায় প্রচুর ধারদেনা করে দুধের ব্যবসা করতে নামেন। সেই দেনা তিনি ধীরে ধীরে মেটাচ্ছেন। এমনকী দেনা মেটাতে নিজের বাড়িও প্রোমোটিংয়ে দিয়েছেন বলে দাবি তাঁর। এখন তদন্তকারিদের সন্দেহ, পাওনাদাররাই কি টাকা আদায়ের জন্য চাপ দিতে তাঁর মেয়েকে বারবার অপহরণ করছে? না কি পাওনাদারদের ফাঁকি দিতে নিজের মেয়েকে একাধিকবার অপহরণ করানোর ছক কষেছে বাবা নিজেই? এই সব সন্দেহের সঠিক উত্তরের চেষ্ঠায় তদন্তকারিরা।