গত ১৮ ফেব্রুয়ারি হলদিয়ায় মা ও মেয়েকে খুনের ঘটনায় ধৃতদের জেরা করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেল পুলিশ। ঘটনা প্রসঙ্গে পুলিশ ধৃতদের জেরা করে জানতে পারে , রিয়াকে বিয়ে করার পরেও মায়ের সঙ্গে সম্পর্ক ছিল সাদ্দামের। ফলে মা ও মেয়ের সঙ্গে সাদ্দামের সম্পর্ক আরো জটিল হয়ে পড়ে। সেই জটিলতা কাটাতেই মা-মেয়েকে খুনের ছক কষে সাদ্দাম। সেই মতো হলদিয়ার দুর্গাচকের ভাড়াবাড়িতে ডেকে পাঠানো হয় তাঁদের। জানা গিয়েছে, খুনের আগে রিয়াকে ধর্ষণের চেষ্টাও করা হয়। তবে ধর্ষণের হাত থেকে বাঁচতে দোতলার ছাদ থেকে নিচে ঝাঁপ দেন ওই তরুণী। চোখের সামনে মেয়েকে ঝাঁপ দিতে দেখে শান্ত থাকতে পারেননি মা রমাও। তিনিও চিৎকার করতে শুরু করেন। তাই সেই মুহূর্তেই রিয়া এবং রমাকে গলা টিপে শ্বাসরোধ করে খুন করে সাদ্দাম।
এরপর খুনের পর রমার দেহ একটি কম্বলে জড়িয়ে একটি ব্যাগের ভিতরে ঢুকিয়ে রিয়ার দেহ রাখা হয় গাড়ির পিছনের সিটে। হলদিয়ার ঝিকুরখালিতে সাদ্দামের বন্ধু মনজুরের বাড়ি। তার সঙ্গে যোগাযোগ করেই ঝিকুরখালির কাছে হুগলি নদীর চরে নিয়ে আসা হয় মা-মেয়ের দেহ। এরপর প্রমাণ লোপাট করার জন্য পুড়িয়ে দেওয়া হয় দু’টি দেহ। শুকদেব এবং মনজুর দু’জনেই সাদ্দামকে খুনের প্রমাণ লোপাটে সাহায্য করেছিল বলেই পুলিশি জেরায় স্বীকার করে নিয়েছে।