বালুরঘাট ১ এপ্রিল ; মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ মত রেশনে চাল ও গম নিতে গিয়ে রেশন না পেয়ে বালুরঘাট জেলা প্রশাসনিক অফিসে বিক্ষোভ দেখালো বালুরঘাট শহর লাগোয়া বেশ কিছু গ্রাম গুলির বাসিন্দারা। যদিও সেসময় খাদ্য দফতরের অফিস তালা মারা থাকায় তারা ভেতরে ঢুকতে পারেনি। তবে জেলা শাসকের দফতর থেকে কুপন পরে দেওয়ার আশ্বাস দিলে তারা ফিরে গেলেও তারা এই দুসময়ে পরিবার নিয়ে খেতে না পাওয়ার দরুন ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাদের অভিযোগ যদি সরকার রেশন নাই দেয় তবে তারা ঘরে বসে না থেকে ফের কাজ করে পরিবার কে নিয়ে বেচে বর্তে থাকতে চান। সরকার সে ব্যবস্থ্যা করে দিক।
যদিও রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এই সেদিনের রাজ্যের সব জেলা শাসকদের বৈঠকে যেখানে বার বার জানিয়েছেন সবাইকে রেশন দিতে এমনকি কেউ যেন না খেয়ে থাকে তার দিকে লক্ষ রাখতে। স্বাভাবিক ভাবে মুখ্যমন্ত্রীর এই মানবিক বানীর উপর ভরসা রেখেই ও জেলা প্রশাসনের মাইক দিয়ে প্রচারের উপর ভরসা রেখেই বালুরঘাট শহর লাগোয়া গ্রামগুলির বাসিন্দারা রেশন দোকানে ভীড় জমান। সেখান থেকে কুপন ছাড়া ফ্রিতে রেশন দেওয়া হবেনা বলে জানানোর পরেই তারা জেলাশাসককের দফতর ও খাদ্য দফতরের সামনে এসে বিক্ষোভ দেখান বলে জানা গেছে।
আজ দুপুরে বালুরঘাট শহর লাগয়া ভূশলা, গোবিন্দপুর, চকরাম, চকভৃগু সহ বেশ কিছু গ্রামের মানুষের তাদের নিজ নিজ এলাকার রেশন দোকানে গিয়ে সরকারি নির্দেশ মত তাদের সাদা রেশন কার্ড দেখিয়ে ফ্রিতে চাল আটা ও তেল সামগ্রী দেবার দাবি জানায়। গ্রামবাসিদের অভিযোগ সেসময় রেশন দোকানদারগন তাদের ফ্রিতে কোন রেশন দিতে রাজি হন নি। কার্ড দেখালেও রেশন ফ্রিতে হবেনা বলে রেশন দোকানদার জানিয়ে বলে এজন্য তাদের খাদ্য দফতরের অফিস থেকে কুপন নিয়ে আসতে হবে। সেমত তারা কুপন দেওয়ার দাবিতে জেলা শাসকের দফতর ও খাদ্য দফতরের সামনে এসে ভীড় জমান। অথচ খাদ্য দফতর বন্ধ থাকায় তারা কুপন না পেয়ে বিক্ষোভ দেখায় বলে জানা গেছে।
যদিও পরে সংবাদ মধ্যমের সামনে জেলা খাদ্য নিয়ামক জয়ন্ত রায় জানান যেহেতু আইনি ঝামেলা এড়াতে গতকাল মাঝ রাত্রে স্টেট থেকে জেলার এক লক্ষ ৪১ হাজার ১৩৯ জনের তালিকা পেয়েছি। তাদের হাতে কুপন গুলি বাড়ি বাড়ি গিয়ে তুলে দেওয়া হবে স্থানিও স্তরের প্রশাসনের মধ্যমে। আগামী ১০ তারিখ থেকে সেই কুপনের মধ্যমে রেশন দেওয়া হবে বলে তিনি জানান। পাশাপাশি সোসাল ডিসটান্স মেনটেন্ড করা হবে রেশন দোকান গুলিতে বলে তিনি জানান।