নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের প্রতিবাদে গত বছরের শেষ থেকে উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল উত্তরপ্রদেশের কানপুর,বিজনৌর, লখনউ-সহ একাধিক জেলা। এমন পরিস্থিতিতে লাঠিচার্জ থেকে শুরু করে কাঁদানে গ্যাস সব ধরনেরই পদক্ষেপ নেয় পুলিশ। এই বিশৃঙ্খল পরিস্থিতিতে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটে অনেকের। আর তার জেরেই সংঘর্ষে জড়িয়ে মৃত্যু পর্যন্ত ঘটেছে অনেকের। সেই মৃত্যুর তদন্তে নেমে বিজনৌরের পুলিশ ৮৩ জনকে গ্রেপ্তার করে। শুধুতাই নয় সরকারি সম্পত্তি ভাঙচুর, পুলিশের দিকে পাথর, গুলি ছোঁড়ার মতো গুরুতর অপরাধে জড়িত থাকার অভিযোগ পর্যন্ত ওঠে।
দিন দুই আগে বিজনৌরের আদালতে ধৃতদের তোলা হলে বিচারক বলেন, “পুলিশের এফআইআরে বলা হয়েছিল যে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়েছে। কিন্তু আদালতে পেশ করা প্রমাণের মধ্যে জনতার কাছ থেকে উদ্ধার হওয়া কোনও অস্ত্র নেই। সরকারি আইনজীবী এরকম কোনও প্রমাণ পেশ করতে ব্যর্থ।” তিনি আরও বলেন, “এফআইআরে এও বলা হয়েছিল, জনতা সরকারি ও বেসরকারি গাড়িতে ভাঙচুর চালিয়েছে। অথচ কোনও বেসরকারি গাড়ি সংস্থার তরফে কোনও অভিযোগই দায়ের হয়নি। যে ১৩ জন পুলিশকর্মী ‘গুরুতর জখম’ হয়েছেন বলে দাবি করেছেন, পরবর্তী সময়ে শারীরিক পরীক্ষায় দেখা গিয়েছে যে তাঁদের আঘাত অত্যন্ত সামান্য।” অর্থাৎ প্রতি পদেই পুলিশের অভিযোগের সঙ্গে পেশ করা প্রমাণের ফারাক বিস্তর। তাই অভিযোগের সত্যতা প্রমাণিত হয়নি আদালতের কাছে। তাই ৮৩জন অভিযুক্তের মধ্যে ৪৮ জনকেই মুক্তি দিল বিজনৌরের আদালত।