বেলেঘাটার মল্লার আবাসন থেকে মাত্র দু’মাসের শিশুকন্যাকে নৃশংসভাবে খুন করে শিশুর মা সন্ধ্যা মালো জৈন। যদিও প্রথমে নিজের দোষ ঢাকতে অপহরণের নাটক করলেও পরে অভিযুক্তকে জেরা শুরু করতেই অপরাধ কবুল করতে বাধ্য হয় সে। এরপর একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য হাতে আসে তদন্তকারী আধিকারিকদের। প্রাথমিক তদন্তে জানা গিয়েছে, বছর দুয়েক আগে গর্ভধারণ করার পর খুশিতে ছিলেন সন্ধ্যা। কিন্তু সেই সময় আচমকাই তাঁদের আর্থিক সমস্যা দেখা দেয়। সেই কারণেই পরিবারের তরফে সন্ধ্যাকে জানানো হয় যে, এই সন্তান সে জন্ম দিতে পারবে না। বিষয়টি মেনে নিতে পারেনি সে। ফলে পরিবারের চাপে পড়েই গর্ভপাত করতে বাধ্য হয়েছিল।
অভিযুক্তের মায়ের কথায়, ওই ঘটনার পর ভেঙে পড়েছিল সন্ধ্যা। কাউকে কিছু না বলতে পারলেও গর্ভপাতের পর থেকেই অবসাদে ভুগতে শুরু করে। তবে কি জোর পূর্বক গর্ভপাতের কারণেই তৃতীয় সন্তানকে মেনে নিতে পারেনি ওই বধূ ? সেই কারণেই খুনের ছক? যদিও আদতেই অনটনে গর্ভপাত ও তাঁর জেরে সন্তান ধারণে অনীহা কি না, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত হতে পারেনি তদন্তকারীরা। তদন্তের স্বার্থে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে বধূর পরিবারের সদস্যদের।