বলাগড়ে ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের ঘটনার প্রায় ৬ বছর পর মিলল সুবিচার। সোমবার এই খুনের ঘটনায় ফাঁসির নির্দেশ দিল চুঁচুড়া আদালত। ৬ বছর আগে অর্থাৎ ২০১৪ সালে ১২ ডিসেম্বর রাত ৮টা নাগাদ টিউশন থেকে ফেরার পথে ধর্ষণ করা হয় ষষ্ঠ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে। সেই সময় বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে গৌরব মণ্ডল, কৌশিক মালিক এবং এক নাবালক তাকে জোর করে একটি জঙ্গলে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। নাবালিকা চিৎকার করলে তাকে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়। ইতিমধ্যে নাবালিকার বাবা ও অন্যান্য প্রতিবেশীরা খোঁজাখুঁজি শুরু করে। খুনের সমস্ত প্রমাণ লোপাটের জন্য নাবালিকার দেহ ও তার সাইকেলটি একটি বাইকে চাপিয়ে নদীর চরে নিয়ে যায়। এরপর ১৩ ডিসেম্বর নিজের মেয়েকে ফিরে পাওয়ার জন্য বলাগড় থানায় একটি অপহরণের অভিযোগ দায়ের করেন নাবালিকার বাবা। তদন্তে নেমে বলাগড় থানার তদন্তকারী অফিসার এস আই সোমনাথ দে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে। এরপর দোষী নাবালক তার অপরাধ স্বীকার করে নেওয়ায় জুভেনাইল কোর্টে বিচার চলছে তার। অবশেষে সমস্ত সাক্ষ্যপ্রমাণ খতিয়ে দেখে গত ২২ জানুয়ারির ধৃতদের দোষী সাব্যস্ত করা হয়। এরপরই সোমবার তাদের ফাঁসির নির্দেশ দেউ আদালত। তবে এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টের দ্বারস্থ হওয়ার চিন্তাভাবনা করছে দোষীরা।