মালদহের মঙ্গলবাড়ি এলাকার বাসিন্দা আনন্দ প্রামাণিক নামে এক ব্যক্তির নৃশংসভাবে খুন করার পর চোখ উপড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠল তার শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের বিরুদ্ধে। খবর পেয়েই দেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। সূত্রের খবর, ফরাক্কায় একটি আলমারি কারখানায় কাজ করতেন তিনি। কোনওদিনই ধরেই শ্বশুরবাড়ির সদস্যদের সঙ্গে বনিবনা ছিল না তাঁর। মাঝে মধ্যেই অশান্তি হত। তা সত্ত্বেও অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিলডাঙা কেশবপুরে শ্বশুরবাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। এরপর শনিবার বিকেলে আশঙ্কাজনক শ্বশুরবাড়ির সদস্যরাই ওই ব্যক্তিকে মালদহ মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানেই চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করে।
এই খবর পেয়েই শ্বশুরবাড়ির বিরুদ্ধে আনন্দকে খুনের অভিযোগ তোলেন মৃতের বৌদি। তাঁর কথায়, পরিকল্পনা মাফিক খুন করা হয়েছে তাঁর দেওরকে। মৃতার বৌদি জানান, আনন্দের শ্বশুরবাড়ির লোকেরা একবার বলছেন রেলে কাটা পড়ে মৃত্যু হয়েছে। কখনও বলছে ফাঁস দিয়ে আত্মঘাতী হয়েছে কখনও আবার খুনের কথাও বলছেন। কিন্তু অশান্তির কারণেই খুনই করা হয়েছে আনন্দকে অভিযোগ তাঁর। ইতিমধ্যেই মৃতের পরিবারের তথ্যের ভিত্তিতে ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। অভিযুক্তের খোঁজে শুরু হয়েছে তল্লাশি।