সিঁথি কাণ্ডে থানায় জেরার সময় সন্দেহভাজন প্রৌঢ়কে মারধোরের ফলে মৃত্যু হয়, এমনটাই অভিযোগ জানিয়েছিলেন মৃত রাজকুমার সাউয়ের পরিবার। ফলে সঠিক বিচার পেতে মৃতর পরিবার দ্বারস্থ হন হাই কোর্টের। হাই কোর্ট পুলিশকে রিপোর্ট জমা দিতে বলেন। এরপর লালবাজারের একটি সূত্র জানিয়েছে, আদালতে রিপোর্ট জমা দেওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, এই মৃত্যুর ঘটনায় তিনজন পুলিশ অফিসারের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল উঠেছে। তাঁদের মধ্যে একজনকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে ও বাকি দু’জনকে পুলিশ ক্লোজ করেছে।
অন্যদিকে, পুলিশের দাবি প্রৌঢ়র মৃত্যু নিয়ে দুই তরফের প্রত্যক্ষদর্শীর বক্তব্য মিলছে না। যার জেরে সমস্যা দেখা দেখা দিচ্ছে। ফলে সিঁথি থানায় প্রৌঢ়ের মৃত্যুর ঘটনায় ময়নাতদন্তের রিপোর্টই মূল অস্ত্র বলে জানিয়েছিলেন লালবাজারের গোয়েন্দারা। যদিও পুলিশ ও মৃতের পরিবারের দাবি, ময়নাতদন্তের রিপোর্টে উল্লেখ রয়েছে, হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই মৃত্যু হয় রাজকুমার সাউয়ের। কিন্তু মৃতের বাঁ হাতের কনুইয়ে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। কানের কাছেও রয়েছে আঘাতের চিহ্ন। ওই আঘাতগুলির ফলেই যে মৃত্যু হয়েছে, এমনটা উল্লেখ করা নেই। গোয়েন্দা পুলিশ তদন্ত করে জানার চেষ্টা করছে যে, প্রৌঢ়কে থানার ভিতর মারধর করার ফলেই এই আঘাতগুলি লেগেছে কি না।
সূত্রের খবর, ময়নাতদন্তের রিপোর্টের ভিত্তিতে জেরা করা হবে ৩ অভিযুক্তকে। যদিও অন্যদিকে সিঁথি কাণ্ডে থানার প্রায় ৩০ জন পুলিশ কর্মী ও অফিসারদের প্রত্যক্ষদর্শী হিসাবে জিঞ্জাসাবাদ করা হলে তাঁদের মধ্যে বেশিরভাগই মারধরের বিষয়টি গোয়েন্দাদের বলতে চাননি।