নিজেস্ব প্রতিনিধি, শালবনী; সকালবেলায় পথে একদল পরিযায়ী শ্রমিককে হাঁটতে দেখে শালবনীর কালীমন্দিরে এলাকার শিক্ষক তন্ময় সিংহ তারা কোথায় যাবে জানতে চায়। একটি ছয় বছরের বাচ্চা ও তার মা ছাড়াও আরও পাঁচজন ছিলো ওই দলে, তারা জানায় শেষ তিনদিন ধরে হেঁটে এসছে তারা দীঘার থেকে। চতুর্থ দিন সকালে তাদের রাস্তায় দেখে তন্ময় বাবু যোগাযোগ করেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার বন ও ভূমি কর্মাধ্যক্ষ নেপাল সিংহের সাথে। শালবনী পঞ্চায়েত সমিতির পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ সন্দীপ সিংহ অগ্রনী হয়ে তাদের আটকান আড়াবাড়ি বনের সংলগ্ন একটি টেলিফোন কোম্পানির অফিসের সামনে। এলাকার থেকে ততক্ষণে শুকনো খাবারের ব্যবস্থা করেছেন অতনু সিংহ ও সুদীপ সিংহ। সন্দীপ বাবু চন্দ্রকোনা রোড ফাঁড়ি, শালবনী থানাতে যোগাযোগ করার পাশাপাশি যোগাযোগ করেন পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার সভাধিপতি উত্তরা সিংহ হাজরা ও শালবনীর বিডিও সঞ্জয় মালাকারের সাথেও। পরিযায়ী শ্রমিকের এই দলটি মুর্শিদাবাদের সুতি ও ধূলিয়ান থানার বলে জানায়, তারা কোয়ারান্টাইনের বদলে আবেদন করেন তাদের অন্তত বর্ধমান বর্ডারের কাছাকাছি এগিয়ে দেওয়ার। সেইরকম সাময়িক ব্যাবস্থা করে এই দলটিকে সেখানে পৌঁছে দেওয়া হয়। ওখান থেকে তাদের বাড়ির লোকেরা তাদের নিয়ে যাবে বলে জানিয়েছে তারা। এখন দেখার এই পরিযায়ী শ্রমিকরা কখন তাদের বাড়ি পৌঁছাতে পারে।