নিজস্ব প্রতিনিধি পূর্ব মেদিনীপুর:দিল্লি থেকে ৯ দিন ধরে সাইকেল চালিয়ে গতকাল রাতে শ্বশুর বাড়িতে এসেছিল জামাই, সকালে গ্রামবাসী জানতে পেরে বীক্ষোভ দেখাতে শুরু করে। ঘটনাটি ঘটেছে পূর্ব মেদিনীপুর জেলার কাঁথি এক নম্বর ব্লকের করঞ্জি গ্রামের সুরেন্দ্রনাথ ভূঞ্যার বাড়িতে। তার এক মেয়ে কে দিল্লি তে বিয়ে দেওয়া হয় সাত বছর আগে দিল্লির এক বাসিন্দা পারভীন তিওয়ারি (36) কে। তার একটি পাঁচ বছরের কন্যা সন্তান ও আছে। গত ছয় মাস আগে পারভিনের স্ত্রী ও মেয়ে তার দিল্লি থেকে মেয়ের বাপের বাড়ি কাঁথিতে চলে আসে। তার পর পারভিনের শ্বশুর বাড়িতে আসার কথা ছিল, কিন্তু লক ডাউনের জন্য চারিদিকে ট্রেন, গাড়ি সব বন্ধ থাকার কারণে সে বাদ্য হয়ে নয় দিন সাইকেল চালিয়ে গতকাল রাতে তার শ্বশুর বাড়িতে এসে পৌচায়। আর এই ঘটনা সকালে পাড়া প্রতিবেশি জানতে পেরে এলাকায় চাঞ্চল্য ছড়াতে শুরু করে। ঘটনার খবর পেয়ে প্রশাসনের কর্মকর্তা গন হাজির হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও গ্রাম বাসিদের একটাই দাবি, তাদের গ্রাম থেকে চলে যেতে হবে আপাতত ১৪ দিন। তারপর আধিকারিকেরা দিল্লি থেকে আসা পরভীন তিওয়ারি কে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় নয়াপুট সাইক্লোন সেন্টারে। এখানে রাজ্য সরকার নির্দেশিত কোয়রান্টিন সেন্টার রয়েছে । তাই এখানে রাখার চেষ্টা করে ব্লক প্রশাসনিক কর্মীরা। কিন্তু ঘটনা জানা জানি হতেই কোয়ারান্টিন সেন্টারের সামনে বিক্ষোভ দেখায় সংশ্লিষ্ট এলাকার বাসিন্দারা। বারবার এলাকার বাসিন্দাদের বোঝানোর চেষ্টা করে স্বাস্থ্য দফতরের কর্মীরা। কিন্তু বহিরা গত যুবককে এলাকার কোয়রান্টিন সেন্টারে রাখতে রাজি হয়নি স্থানীয় লোকজন। পরে বাধ্য হয়ে সন্ধ্যে নাগাদ তাকে কয়েক কিলো মিটার দূরে সাবাজপুটে স্থানীয় একটি কোয়ারান্টিন সেন্টারে রাখ ব্লক প্রশাসনিক কর্মীরা। স্থানীয় গ্রামের বাসিন্দা বিকাশ গিরি বলেন, এই এলাকায় অনেকেই ভিন্ রাজ্য থেকে এসেছে। কিন্তু তাদের এখন পর্যন্ত কোরোনার কোন উপসর্গ দেখা যায়নি, তা সত্যেও ছেলে গুলো স্থানীয় একটি কোয়ারেন্টিনে আছে। সেও ১৪ দিন বাইরে থেকে এখানে শ্বশুর বাড়িতে এলে আমাদের কোন আপত্তি নেই, সেতো এলাকায় জামাই। কাঁথি এক নম্বর ব্লকের BDO লিপন তালুকদার বলেন, ঘটনাটি ঘটে ছিল ঠিক। কিন্তু প্রশাসনের লোকেরা গিয়ে প্রশাসনের নির্দেশ মোতো সঠিক ভাবে সঠিক জায়গায় রাখা হয়েছে।