নদিয়ার শিমুরালি এলাকার এক চাষের জমি থেকে এক নাবালিকার দেহ উদ্ধারের ঘটনায় চাঞ্চল্য ছড়ায়। সূত্রের খবর, বছর সতেরোর মৃত শবনুর মণ্ডল ছিলেন নদিয়ার গাংগাপুরের বাসিন্দা। প্রায় বারো বছর আগে ধানতলার চাঁদিপুরের আজিবর মণ্ডলের সঙ্গে বিয়ে হয় শবনুরের দিদির। বিয়ের কিছু সময় পর আচমকাই স্ত্রীর সঙ্গে সম্পর্কে ছন্দপতন হয় আজিবরের। এরপর থেকেই শ্যালিকা শবনুরের উপর নজর পড়েছিল আজিবরের। নাবালিকাকে ফুঁসলেই সম্পর্কে জড়িয়ে পড়তে বাধ্যও করে সে। সম্পর্কের গভীরতা বাড়তেই দিদির কাছে যাওয়ার নাম করে ঘর ছাড়ে শবনুর। সেই থেকে টানা ৩৯ দিন বেপাত্তা দু’জন। একাধিক জায়গায় খুঁজেও তাঁদের হদিশ পায়নি কেউ।
জানা গিয়েছে, শুক্রবার হঠাৎই স্ত্রী শাবানাকে ফোন করে আজিবর। জানায়, “আমি একটা অন্যায় করে ফেলেছি। তোমার বোনের মৃতদেহ পড়ে আছে মাঠের মধ্যে। তুমি ঠিকানাটা লিখে নাও।” ঠিকানা লিখতেই ফোন কেটে দেয় অভিযুক্ত। এরপর থেকে বন্ধ আজিবরের মোবাইল। আজিবরের দেওয়া ঠিকানা থেকেই মেলে শবনুরের দেহ। শরীরে মিলেছে কাটা চিহ্ন। দেহ উদ্ধারের পরই জামাইয়ের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেছেন মৃতার বাবা। তবে এই ঘটনার পিছনে কি কারন আছে তার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।