প্রথম স্ত্রী থাকতে দ্বিতীয়বার বিয়ে, মানতে নারাজ পরিবার সেই কারনে ধরনায় বসল পুত্রবধূ। ঘটনাটি ঘটেছে, পূর্ব মেদিনীপুরের পটাশপুরে। সূত্রের খবর, পটাশপুর থানা এলাকার দাইতলাবাজার সংক্রান্ত পেশায় ফল ব্যবসায়ী নিশিকান্ত সাঁতরার ছোট ছেলে দিলীপের স্ত্রী এবং দুই সন্তান থাকা সত্ত্বেও নদিয়ার মুরুটিয়া থানার শিকারপুর গ্রামের মণিকা ঘোষ নামে এক বিবাহিত যুবতীর সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পরে। দিলীপ মনিকাকে জানিয়েছিলেন যে তাঁর প্রথম পক্ষের স্ত্রীর সঙ্গে মনোমালিন্য এবং সে অর্থে নিজেদের মধ্যে প্রায় কোনও সম্পর্কই নেই। এরপরেই গত শনিবার দিলীপ নদিয়ার করিমপুর কালীমন্দিরে বিয়ে করে বাড়িতে এনে তোলে দিলিপ। অভিযোগ, বাড়িতে তাঁদের দেখে দিলীপের পরিবারের লোকজন এবং তাঁর প্রথম স্ত্রী মণিকাকে মেনে নিতে চান না। শুরু হয় অশান্তি। বুধবার রাতে মনিকা দীর্ঘক্ষণ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে থাকার পর খবর পৌঁছায় পুলিশে। পুলিশে ঘটনাস্থলে এসে ওই যুবতিকে নিরাপত্তার স্বার্থে থানায় নিয়ে গেলেও পরের দিন সকালে ওই যুবতী বাড়ি যাবেন বলে থানা থেকে বেরিয়ে এসে দিলিপের বাড়ির সামনে ধরনায় বসে। মণিকা ঘোষের অভিযোগ, ‘আমাকে বিয়ে করে বাড়িতে নিয়ে এসে এখন দিলীপ আমাকে রেখে পালিয়ে গেছে। শ্বশুরবাড়ির লোকেরা আমাকে বাড়িতে ঢুকতে দিচ্ছে না। যতক্ষণ না বাড়িতে ঢুকতে দেবে, এখানে ধরনা দেব।’পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ঘটনায় এখনও পর্যন্ত অভিযোগ দায়ের করা হয়নি থানায়।