চিনা ‘করোনা ভাইরাস’-এর আতঙ্কের জেরে বাংলাদেশের পর এবার কলকাতা বিমানবন্দরেও জারি করা হল
সতর্কতা। সূত্রের খবর, গত বছরের ৩১ ডিসেম্বর চিনের ইউহান শহরে একটি নতুন ধরনের ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা
দেয়। ভাইরাসটি চিনের পূর্বাঞ্চলের একটি মাছের বাজার থেকে ছড়িয়েছে। জেনেটিক সিকোয়েন্স পরীক্ষা করে বিশ্ব স্বাস্থ্য
সংস্থা জানিয়েছে, ভাইরাসটি ভয়াবহ সার্স ভাইরাসের সঙ্গে সম্পর্কিত। করোনাভাইরাস ইতিমধ্যেই এক পর্যটকের মাধ্যমে
থাইল্যান্ড এবং জাপানে সংক্রমিত হয়েছে। যারফলে চিন থেকে আসা পর্যটকদের আপাদমস্তক পরীক্ষা-নিরীক্ষার পরই
কলকাতা বিমানবন্দর থেকে ছাড়া হচ্ছে। থার্মাল স্ক্যানারে চলছে স্ক্যানিং পদ্ধতি। স্বাস্থ্য মন্ত্রকের তরফে কলকাতার
পাশাপাশি দেশের আরও ৭টি বিমানবন্দরে জারি হয়েছে সতর্কতা। বিশেষজ্ঞদের মতে, এই রোগের উপসর্গ অনেকটা
নিউমোনিয়ার মতো। তবে জ্বর ও কাশির পাশাপাশি শ্বাসকষ্ট দেখা যায় রোগীর। এই ভাইরাসে আক্রান্ত হলে কিডনি
বিকল হতে পারে। এমনকী মৃত্যুও হতে পারে রোগীর। একজনের থেকে অন্যজনের শরীরে খুব সহজেই ছড়িয়ে পড়ে এই
ভাইরাস। হাঁচি, কাশি থেকে এই ভাইরাস ছড়াতে পারে। বিশেষজ্ঞরা এও জানিয়েছেন, ছ’ফিট পর্যন্ত ছড়াতে পারে এই
ভাইরাস। এটি সরাসরি ফুসফুসে আক্রমণ করে। কোনও রেলস্টেশন বা বিমানবন্দরে যদি একজনও করোনা ভাইরাসে
আক্রান্ত হয়ে পৌঁছয়, তাহলে অনেকেই এই ভাইরাসে আক্রান্ত হতে পারে। তাই অতিরিক্ত সতর্কতা নেওয়া হচ্ছে।